প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলে ৮ হাজার রানের মাইল ফলক অতিক্রম করলেন দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। টেস্ট ক্রিকেটে ২ হাজার ৭৮৮ রানের পাশাপাশি ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪ হাজার ৩৮২ রান এবং টি-২০তে ৮৮৩ রান করেন তিনি।
মাগুরায় জন্মগ্রহণ করা এই বাহাতি ক্রিকেটারের ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিলো ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ওই বছরই ২৮ নভেম্বর ওই দলের বিপক্ষে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-২০ ভার্সনেও অভিষেক হয় এ অলরাউন্ডারের।
অভিষেক ওয়ানডেতেই ব্যাট হাতে ৩০ রানের পাশাপাশি ১০ ওভার বল করে ৩৯ রানে ভাঙেন এল্টন চিগুম্বুরার স্ট্যাম্প। বার্তা দেন আগামীর ক্রিকেট তারকা হওয়ার।
ক্রিকেটের টি-২০ ভার্সনে বয়স তখনও খুব একটা বেশি না। ২০০৬ সালেই ক্রিকেটের এ নতুন সংস্করণের সাথে পরিচয় বাংলাদেশের। ওই বছরই দেশের একাদশ ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০ অভিষেক হয় তার।
বল হাতে সফল না হলেও ব্যাট হাতে ২৪ রান করা ঐ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৩ রানের বড় জয় পায় টাইগাররা।
তবে টেস্ট অভিষেকটা তার একটু দেরিতেই। এক বছর বাদে ১৮ মে ভারতের বিপক্ষে। অভিষেকের ম্যাচে কোনো উইকেট না পেলেও ব্যাট হাতে করেন ২৭ রান।
২০০৬ ছাড়িয়ে এখন ২০১৫ সাল। ক্রিকেট দেখেছে অনেকটা পথ। সাকিব আল হাসান হয়ে উঠেছে ক্রিকেটের তিন ভার্সনেই বিশ্ব সেরা।
চট্টগ্রামের জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লড়াকু ৪৭ রানের ইনিংসে ছাড়িয়ে গেলেন সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ৮ হাজার রানের মাইল ফলক।
চট্টগ্রামে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট বৃষ্টির বাধায় অসমাপ্ত ভাবে শেষ হলে প্রথম বারের মতো প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ড্র দেখে বাংলাদেশ।
এরপরই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে দেশ সেরা এ ক্রিকেটারকে।