চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

অবিলম্বে গণপরিবহণে নৈরাজ্য বন্ধ হোক

সিটিং সার্ভিস বন্ধ ঘোষণার দ্বিতীয় দিনেও নৈরাজ্য থামেনি। বিআরটিএ বা সরকারের অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকেও সেই নৈরাজ্য থামাতে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। কৌশলে রাস্তায় গাড়ি কম নামিয়ে এক প্রকার খেলায় মেতেছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীতে গণপরিবহনের সংকট দেখা গেছে। বলা যায় অঘোষিত ধর্মঘট চলছে রাজধানীতে। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। বিশেষ করে কর্মজীবী নারীরা। এদিন তাদের অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও বাসে উঠতে পারেনি। অথচ সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দিয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, গণপরিবহণের ভাড়া এবং রাজধানীর পরিবহণ সংকট কমাতেই এ উদ্যোগ। কিন্তু সেই উদ্যোগের ফলাফল কি হলো? প্রথম দিনই আমরা দেখলাম ভাড়াতো কমলোই না উল্টো সার্ভিস খারাপ হয়ে গেল। ভিড়ের চাপে নারীরা গাড়িতে উঠতে পারছে না। কেউ কেউ কষ্ট করে উঠলেও নামার সময় আরেক ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাকে। আর কোন গাড়িতেই ছিল না বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা। আর এই নৈরাজ্য ঠেকাতে কাউকেই রাস্তায় দেখা গেল না। এমনকি সেই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীও নামলেন ভিন্ন ভূমিকায়। তাহলে কি আমরা ধরে নেবো ইচ্ছাকৃতভাবে একটি গোষ্ঠী নগরবাসীকে এমন হয়রানীর মধ্যে ফেললো? আর সেই গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বিআরটিএ? কেননা সবকিছুর আগে বিআরটিএ’র উচিৎ ছিল প্রত্যেক রুটের ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করা। প্রতিটি গাড়িতে না হলেও তাদের ওয়েবসাইটে সেই তালিকা প্রকাশ করা যেত। পাশাপাশি ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সেসব পরিবহনে ভাড়ার তালিকা নেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেত। কিন্তু তারা তা না করে ওইসব নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদেরই পক্ষ নিয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে এই নৈরাজ্য বন্ধ করা হোক।