অনেক আগেই পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হলেও কাগজে কলমে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্কটা ঝুলে ছিল চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের। সেজন্য কোনো বেতন অবশ্য পাচ্ছিলেন না। তাই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডকে (এসএলসি) নিয়ে গেছেন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে। এরপরই হাথুরুর সাথে সম্পর্কের শেষ সুতোটাও ছিঁড়ে ফেলল এসএলসি।
গত বছরের আগস্টে হাথুরুকে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেয় এসএলসি। পরেও কিছু মাস তাকে বেতন দিয়েছে বোর্ডটি। এসময়ে হাথুরুর আইনজীবীর সঙ্গে চিঠি চালাচালি হয়েছে লঙ্কান বোর্ডের। কোচ হিসেবে লঙ্কানদের সাবেক এ ক্রিকেটারের ব্যর্থতার খতিয়ান আইনজীবীর হাতে ধরিয়ে দিয়েছে এসএলসি। দেখানো হয়েছে ব্যর্থতার কারণও।
আনুষ্ঠানিকভাবে হাথুরুর সঙ্গে চুক্তি বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি বেতন-ভাতা নিয়েও একটা সমাধানে আসার চেষ্টা করেছে এসএলসি। ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের সাবেক কোচের সঙ্গে চুক্তি ছিল লঙ্কানদের। এ কয়মাসের বেতনের সঙ্গে বরখাস্ত হওয়ার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ মিলিয়ন ডলার চেয়েছিলেন হাথুরু। মূলত সেজন্যই ক্রীড়া আদালতে যাওয়া তার।
হাথুরুর আবেদনের প্রেক্ষিতে লঙ্কান বোর্ডকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন ক্রীড়া আদালত। তাতে দ্রুত মধ্যস্থতায় আসার চেষ্টা করছে বোর্ডটি। এরআগে ২০১২ সালে জিওফ মার্শকে বরখাস্ত করার পর বড় রকমের জরিমানা গুণতে হয়েছিল লঙ্কানদের।