চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অবশেষে স্বস্তি

এসএসসি পরীক্ষা

করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের মধ্যে অজানা ভয়, আতঙ্ক আর শঙ্কাকে জয় করে প্রায় সাড়ে ৮ মাস অপেক্ষার পর অবশেষে আজ পরীক্ষার হলে বসতে পেরেছে মাধ্যমিকের (এসএসসি) ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন পরীক্ষার্থী। এ যে কত বড় এক মানসিক প্রশান্তি, তা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানে। বিশেষ করে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরও যেসব শিক্ষার্থী দিনের পর দিন, মাসের পর মাস পরীক্ষার জন্য অপেক্ষায় থেকেছে- তারাই জানে সেই অসহনীয় দিনগুলোর কথা।

শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, তাদের অভিভাবকরাও একই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেছেন। তাদের চ্যালেঞ্জটাও কম ছিল না। বিশেষ করে কৈশোরের অবারিত দ্বারে থাকা পরীক্ষার্থীদেরকে লক্ষ্যে অবিচল রাখতে অভিভাবকদের লড়াই ছিল আরও কঠিন। শেষ পর্যন্ত সেই প্রতিকূল সময় পার করেছেন তারা। এটাই তাদের কাছে আজ বড় অর্জন।

এত এত সব বাধা পেরিয়ে আসার পর তাই পরীক্ষার্থীরা ভীষণ খুশি, আনন্দিত। পরীক্ষা শুরুর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তাদের অনেকেই সরাসরি বলেছে, পরীক্ষা দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে তাদের। কারণ পরীক্ষা না নিয়ে অটোপাস করিয়ে দেওয়া হলে, তারা ‘ছোট’ হয়ে যেত। এখন পরীক্ষা হওয়ায় যোগ্যতা-মেধা অনুসারে কলেজে ভর্তি হতে পারবে। মেধার মূল্যায়নেরও সুযোগ থাকবে।

আমরা জানি, করোনাভাইরাস বাংলাদেশ-সহ সারা পৃথিবীকে স্থবির করে রেখেছিল। স্বাভাবিক বিষয়গুলোকে করে তুলেছিল অস্বাভাবিক। চেনা পরিসর হয়ে পড়েছিল অচেনা। এই সময়ে অনেকের কাছে বেঁচে থাকাটাই ছিল যেন অলৌকিক ঘটনা। কয়েক মাস বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার পর করোনাটিকা মানুষের হাতে আসে। তারপর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টেছে। মানুষ আবার নতুন করে তার চেনা ও স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরছে। যদিও নানা বিধিনিষেধ আজও আছে, তবুও আতঙ্কিত সেই সময়গুলোর চেয়ে স্বস্তি এখন অনেক বেশি।

আর এ কারণেই পরীক্ষার হলে অনেক নিয়ম ছিল। বিশেষ করে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার-সহ কঠিনভাবে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদেরকে। তবে এক্ষেত্রে হতাশ করেছেন তাদের অভিভাবকরা। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সচিত্র প্রতিবেদনে দেখা গেছে; কেন্দ্রের বাইরে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে অভিভাবকরা ভিড় করছেন। অনেকের ‍মুখে মাস্কও ছিল না। এমন পরিস্থিতি করোনাভাইরাসে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বারবার সতর্ক করার পরও এমন ঘটনা দুঃখজনক।

আমরা মনে করি, করোনাভাইরাসকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। যার কারণে এত কিছু, তাকে নিয়ে আরও সতর্ক থাকাই ভালো।