চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অবশেষে শিক্ষা ক্যাডারের ৩২ কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ

শিক্ষা ক্যাডারের ৩২ কর্মকর্তার বদলির আদেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এসব কর্মকর্তাকে দেশের বিভিন্ন এলাকার কলেজে বদলির আদেশ দিয়েছে।

শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থায় দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করা এসব কর্মকর্তার মধ্যে ৩০ জনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে

সিনিয়র সচিব ফাতেমা তুল জান্নাত সাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়: বদলিকৃত ৩০ কর্মকর্তার মধ্যে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ৭ কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা হলেন- ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আশফাকুস সালেহীন, বিদ্যালয় পরিদর্শক এ টি এম মঈনুল হোসেন, উপপরিচালক ফজলে এলাহী, উপসচিব মোহাম্মদ নাজমুল হক, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাসুদা বেগম, উপ–কলেজ পরিদর্শক ও শিক্ষামন্ত্রীর সাবেক সহকারী একান্ত সচিব মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ এবং উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অদ্বৈত কুমার রায়।

বাকী ২৩ জনের মধ্যে সাত জন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং বাকীরা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে: অবিলম্বে এই বদলির আদেশ কার্যকর করা হবে। এছাড়া মন্ত্রিপরিষণদ সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরে এই প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি প্রদান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোতালেব হোসেন এবং উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিনকে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও আলোচনা শুরু হয়।

এছাড়া সরকারি নিয়মানুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দপ্তরে একনাগাড়ে তিন বছরের বেশি রাখা যায় না।২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদা করে নীতিমালা জারি করে জানায়, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা এখন থেকে একই দপ্তর বা সংস্থায় একনাগাড়ে তিন বছরের বেশি সময় থাকতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, কোনো কর্মকর্তাকে একটি দপ্তর থেকে অন্য দপ্তর বা সংস্থায় বদলিও করা যাবে না। কিন্তু এই নীতিমালা বাস্তবায়ন না করায় সমালোচনা ছিল।

 

প্রজ্ঞাপনের অংশবিশেষ

এছাড়া প্রশ্নফাঁস নিয়ে বিতর্কের মুখে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ও মন্ত্রণালয় মূলত ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ। এই ৩০ জনের পর আরো কয়েকজনকেও বদলি করা হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।