ভারতের চাপ ও বিতর্কের মুখে যুক্তরাজ্য সরকার তার বিদেশ ভ্রমণ নির্দেশিকা সংশোধন করেছে। সেখানে স্পষ্ট করা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ভারতীয় সংস্করণ একটি অনুমোদিত করোনাভ্যাকসিনের ডোজ।
তবে এতকিছুর পরও ভারতীয়রা ১০ দিনের স্বেচ্ছা আইসোলেশন ছাড়াই যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করতে পারবে কিনা- সেই বিষয়টি এখনও পরিস্কার নয়।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে ভ্রমণের জন্য অনুমোদিত ভ্যাকসিনের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে তীব্র সমালোচনায় পড়ে যুক্তরাজ্য সরকার।
কোভিশিল্ড ভারতে তৈরি প্রথম ভ্যাকসিন, এরই মধ্যে যার ৭২১ মিলিয়ন ডোজ বিতরণ করা হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার ভারত যুক্তরাজ্যের তৈরি নিয়মকে ‘বৈষম্যমূলক’ হিসেবে উল্লেখ করে পুরোপুরি ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের সেলফ আইসোলেশনের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার আহ্বান জানায়।
ওই নিয়মে অনুমোদিত করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার পরও ভারতীয়রা সম্পূর্ণরূপে ভ্যাকসিন গ্রহীতা হিসেবে স্বীকৃত নন।
এ কারণেই যুক্তরাজ্য ভ্রমণে গেলে ভারতীয়দের মুক্তভাবে চলাচল করার আগে সেলফ আইসোলেশন করতে হবে। পাশাপাশি করোনা পরীক্ষাও করতে হবে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য নতুন নিয়ম ঘোষণা করে। যা আগামী ৪ অক্টোবর থেকে প্রযোজ্য। সেই নিয়মে বেশ কিছু দেশ থেকে যুক্তরাজ্য সফরকারীদের স্বেচ্ছা আইসোলেশন দরকার হবে না। যদি তারা পুরোপুরি ভ্যাকসিন গ্রহীতা হন। তবে ওই তালিকায় ভারতের নাম ছিলো না।
তারপরই শুরু হয় বিতর্ক। ভারতের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক শশী থারুর, জয়রাম রমেশের নেতারা প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেন, যুক্তরাজ্যের এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত ‘বর্ণবাদ’ ছাড়া কিছুই নয়।
এরপর যুক্তরাজ্য জানায়, বিষয়টি সমাধানে তারা ভারত সরকারের সাথে একযোগে কাজ করছে।
এরই মধ্যে ২৫ শতাংশ ভারতীয় পুরোপুরি ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। প্রায় ১৫০ মিলিয়ন জনগণ তাদের নিজেদের দেশে বানানো কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার লাইসেন্স নিয়ে ভ্যাকসিন বানাচ্ছে।
এমনকি জাতিসংঘের ভ্যাকসিন জোট গ্যাভি দরিদ্র দেশগুলোর জন্য এশিয়া, আফ্রিকা ও লাটিন আমেরিকার বেশ কিছু দেশে সেরাম ইন্সটিটিউটের তৈরি কোভ্যাক্স সরবরাহ করছে।