চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

অপ্রিয় নীতিতে টনি অ্যাবোটের পতন

অস্ট্রেলিয়ার লিবারেল পার্টির সদ্য সাবেক প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী টিনি অ্যাবোট দলের নেতৃত্ব নির্বাচনে আয়োজিত ঝটিকা-ভোটাভুটিতে প্রতিদ্বন্দ্বি টার্নবুলের কাছে ১০ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন। যার ফলে লিবারেল পার্টি প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়াসহ টার্নবুলকে প্রধানমন্ত্রীর পদটিও ছেড়ে দিতে হচ্ছে।

টনি অ্যাবোটের এমন পতনের পেছনে রয়েছে তার কিছু অজনপ্রিয় নীতি প্রণয়ন। যার মাধ্যমে জনগণের সমর্থন হারানোর পাশাপাশি কঠোর সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়েছিলো দেশটির শীর্ষ এই নেতাকে। নীতির পরিবর্তন এবোটের বিশ্বাসযোগ্যতা ধ্বংস করে।

তার প্রণীত বিতর্কিত সীদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি স্থানীয় ডাক্তারদের কাছে প্রতিবার সেবা লাভের জনগণের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫ ইউএস ডলার আদায়ের পরিকল্পনা। এছাড়াও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে বড়ধরনের সংকোচন এবং বেকার তরুণদের সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কিছু সময় অপেক্ষায় রাখার প্রস্তাবসহ আরো কয়েকটি বিষয়।

ফেব্রুয়ারী মাসে এবোট বেতনসহ পিতা-মাতার ছুটির পরিকল্পনা প্রত্যাহার করে নেয় যখন এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে এক্ষেত্রে অর্থায়ন কঠিন হবে। এই পরিকল্পনা নারী ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় ছিলো না। কারন তারা এর পরিবর্তে শিশু পালনের জন্য ভর্তুকি প্রত্যাশি ছিলো।

এছাড়াও সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে এবোটের ভুমিকাও জনগণ পছন্দ করেনি। অনেক অস্ট্রেলিয়ান গে বিবাহের আইনগত বৈধতা চাইলেও এবোট ছিলেন এর ঘোর বিরোধী।

অতি সম্প্রতি যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার অভিবাসীদের গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশটির জনগণের উদার মনোভাব বুঝতেও ব্যর্থ হন এবোট। পরবর্তীতে তিনি ঘোষণা করেন অস্ট্রেলিয়া আগামী বছরের মধ্যে ১২ হাজার সিরিয়ানকে আশ্রয় দেবে।

কয়েকজন সংসদ সদস্যের প্রতি এবাটের ব্যক্তিগত আনুগত্য জনগণের সমালোচনা এবং সামাজিক মাধ্যমে উপহাসের সৃষ্টি করে।