প্রত্যেক দল ম্যাচ খেলবে ৩৮টি করে। বার্সা ইতিমধ্যে ৩৫টি খেলে ফেলেছে। তাতে তাদের পয়েন্ট ৮১। রিয়াল খেলেছে ৩৪টি। তাদের পয়েন্টও ৮১। পরিস্থিতি বলছে, এখন এক-একটি ম্যাচের দাম কোটি টাকা। পা হড়কালেই নির্ঘাত অতল গহ্বর। এমন সময় শনিবার রাতে ভিন্ন ম্যাচে লা লিগায় মাঠে নামছে দুই স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদ।
বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে একটায় রিয়ালের প্রতিপক্ষ গ্রানাডা। তার আগে রাত সাড়ে দশটায় বার্সার সঙ্গে দেখা হবে ভিয়ারিয়ালের।
লা লিগা শিরোপাজয়ী দলের নাম জানতে লিগের শেষদিন পর্যন্ত খুব একটা অপেক্ষা করতে হয় না। কয়েক ম্যাচ আগে পয়েন্ট টেবিল দেখেই জেনে নেওয়া যায় কার ঘরে যাচ্ছে ট্রফি। কিন্তু এবার হিসাব বলছে, শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
রিয়ালের শেষ চারটি ম্যাচ হবে ৬, ১৪, ১৭ এবং ২১মে। প্রতিপক্ষ যথাক্রমে গ্রানাডা (অ্যাওয়ে), সেভিয়া (হোম), সেল্টা ভিগো (অ্যাওয়ে), মালাগা (অ্যাওয়ে)। রিয়াল যদি এই চার ম্যাচ জিতে যায়, তাহলে বার্সার আর করার কিছু থাকবে না। ২০১১-১২ মৌসুমের পর প্রথমবার লা লিগা শিরোপা ঘরে তুলবে রোনালদো-জিদানের রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়ালের জন্য হুমকি হতে পারে সেভিয়া ম্যাচটি। জানুয়ারিতে এই সেভিয়াই একটি রেকর্ড গড়া থেকে বঞ্চিত করে রিয়ালকে। ২-১ গোলে রোনালদোদের হারিয়ে টানা ৪১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার সুযোগ থেকে ছিটকে দেয়। ওই ম্যাচে ইনজুরি টাইমে গোল করে রিয়ালকে ভড়কে দিয়েছিলেন স্টিভেন জোভেটিক।
শেষ দুই ম্যাচও রিয়ালের জন্য কঠিন হবে। সেল্টা ভিগো এবং মালাগা পয়েন্ট টেবিলের মাঝামাঝি থাকলেও বিপজ্জনক। এই মৌসুমে সেল্টা ইতিমধ্যে রিয়াল এবং বার্সাকে হারানোর সাহস দেখিয়েছে। মালাগাও আছে দারুণ ছন্দে। লিগের শেষ ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতেছে দলটি। রিয়ালকে সতর্ক হতেই হবে।
বার্সার ম্যাচ বাকি আছে তিনটি। ৬, ১৪ এবং ২১মে তারা মুখোমুখি হবে যথাক্রমে ভিয়ারিয়াল (হোম), লাস পালমাস (অ্যাওয়ে) এবং এইবারের (হোম)।
বার্সার জন্য তিন ম্যাচ জেতা রিয়ালের চেয়ে তুলনামূলক সহজ। দুটি ম্যাচ নিজেদের মাঠে হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারে এনরিকের ছেলেরা। তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ শনিবার রাতে। ভিয়ারিয়াল এই মৌসুমে দারুণ খেলছে। পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চমস্থানে। মরণকামড় দিতে পারলেই ‘শেষ’ মেসিরা! ভিয়ারিয়াল আত্মবিশ্বাস খুঁজতে পারে ২০০৭-০৮ মৌসুম থেকে। সেবার মেসিদের মাঠে মারকোস সেন্না এবং জন ঢাল টোমাসসনের গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল দলটি। রাতে মাঠে নামার আগে বার্সার নিশ্চয়ই সেদিনের কথা মনে পড়বে।
হিসাবের খাতায় পড়ে থাকছে আরেকটি অধ্যায়। যদি ৩৮ ম্যাচ শেষে দুই দলের পয়েন্ট সমান হয়, তবে কী হবে?
তখন শিরোপা যাবে ‘হেড-টু-হেড’ ফলাফলের ভিত্তিতে। সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে রিয়ালের। কেননা নিজেদের মাঠে রিয়ালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করার পর রিয়ালের মাঠে ৩-২ গোলে জিতেছিল এনরিকের ছেলেরা। তার মানে ৪-৩ গোলে এগিয়ে আছে মেসি-নেইমাররা।
২০০৬-০৭ মৌসুমে এভাবে শিরোপা নিষ্পত্তি হয়েছিল। সেবার জয়ের বাতি জ্বলেছিল রিয়ালের ঘরে। নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে জেতার পর ক্যাম্প-ন্যুতে ৩-৩ গোলে ড্র করেছিল রিয়াল। সেবার দুই দলই ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করেছিল।