মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কোভিড ভ্যাকসিন বা টিকা প্রস্তুতকারী শীর্ষ ছয় কোম্পানির কঠোর সমালোচনা করে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অনুন্নত দেশগুলো ভ্যাকসিন পেয়েছে মাত্র দশমিক ৩ শতাংশ।
‘এ ডাবল ডোজ অব ইনইক্যুয়ালিটি’ শিরোনামে বুধবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি বিশ্বের শীর্ষ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা, বায়োএনটেক, জনসন এন্ড জনসন, মডার্না, নোভাভেক্স ও ফাইজারের সমালোচনা করে।
অ্যামনেস্টি বলছে, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী এ কোম্পানিগুলো কেবল ধনী দেশগুলোর সঙ্গে লেনদেনে জড়িত। মানবাধিকার সংস্থাটির মহাসচিব এগনস কলামার্দ বলেন, ‘করোনা মহামারি থেকে বের হয়ে আসার একমাত্র পথ ভ্যাকসিনেশন।’
তিনি বলেন, এতো দ্রুত ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার জন্য ‘নায়ক’ অভিধান দিয়ে এ কোম্পানিগুলোর প্রশংসা করা উচিৎ ছিল। কিন্তু তাদের ভ্যাকসিন তৈরির প্রযুক্তি অভিজ্ঞতা অন্যদের দেয়া থেকে বিরত থাকা এবং কেবল ধনী দেশগুলোর মধ্যে লেনদেন কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখা বিশ্বের অনেক দেশের জন্য চরম ভ্যাকসিন ঘাটতি তৈরি করছে।
অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে তাদের গবেষকরা দেখেছেন যে, ছয় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী তাদের মানবিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ৫৭৬ কোটি ডোজ করোনা টিকা বিতরণ করা হয়েছে; এর মধ্যে অনুন্নত দেশগুলোয় গেছে মাত্র দশমিক ৩ শতাংশ টিকা। ৭৯ শতাংশ টিকা পেয়েছে মধ্য আয় ও উন্নত দেশগুলো।
প্রতিবেদনে করোনা ভ্যাকসিনের বণ্টন নিয়ে বৈষম্যের বিষয়টির কঠোর সমালোচনা করা হয়।