বস্ত্র অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নেয়নি এমন ধরনের প্রতিষ্ঠানকে কোনো ধরনের ব্যাংকিং সুবিধা না দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনের চিঠি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বস্ত্র খাতকে যুগোপযোগীকরণ, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনে সহায়তাকরণ, টেকসই উন্নয়ন, বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ, আধুনিকায়ন, সমন্বয় ও মান নিয়ন্ত্রণ, বস্ত্রশিক্ষা ক্ষেত্রে চাহিদা ভিত্তিক কারিক্যুলাম প্রণয়ন, গবেষণা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল সৃষ্টি এবং এই সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বস্ত্র আইন, ২০১৮ প্রণীত হয়েছে।
এ আইনের ২(৬) ও ১২(২) নং ধারা মোতাবেক বস্ত্র অধিদপ্তরের নিবন্ধন ব্যতীত কোন বস্ত্রশিল্প [বস্ত্র আইন, ২০১৮ এর ২(৮) নং ধারায় উল্লেখিত সকল প্রতিষ্ঠান] পরিচালনা করা যাবে না।
তবে কোনো কোনো বায়িং হাউজসহ অন্যান্য বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান বস্ত্র অধিদপ্তরের নিবন্ধন না নিয়েই নিয়মবহির্ভূতভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বস্ত্র অধিদপ্তরে নিবন্ধিত না হওয়ায় এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইনি পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
এমতাবস্থায়, বস্ত্র আইন, ২০১৮ অনুযায়ী দেশের বায়িং হাউজসহ অন্যান্য সব বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান বস্ত্র অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত হওয়া আবশ্যক বিধায় এ সব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে উক্ত আইনের আওতায় গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় ক্ষমতা বলে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।