সম্পর্কটা ছিলো গুরু ও শিষ্যের। ভক্তি কিংবা শ্রদ্ধার। তবুও তারা ছিলেন বন্ধুর মতো। শুটিং থেকে শুরু করে ব্যক্তি জীবনেও তাদের সে সম্পর্ক অটুট ছিলো।
বলছি সদ্য প্রয়াত দুই অভিনেতা কায়েস চৌধুরী এবং শামীম ভিস্তির কথা। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনই পাড়ি জমিয়েছেন অনন্তের পথে। নাট্যকার ও অভিনেতা কায়েস চৌধুরী মারা গেছেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে, অন্যদিকে তার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর (শুক্রবার ভোর ৪টা) মারা যান শামীম ভিস্তি।
কায়েস চৌধুরীর সঙ্গে দারুণ সব মুহূর্তের স্থিরচিত্র পাওয়া যাবে শামীম ভিস্তির ফেসবুক ঘাঁটলেও। সবগুলো ছবিতেই কায়েস চৌধুরীকে পরম আন্তরিকতায় ‘গুরু’ বলে সম্বোধন করেছেন শামীম। কায়েস চৌধুরীকে নিয়ে ছবি এবং ক্যাপশন দেখে এই দুই গুরু-শিষ্যের মধ্যকার যে আত্মিক সম্পর্ক, তা কিছুটা আন্দাজ করতে পারবেন পাঠক।
সহকর্মী এই দুই অভিনেতার মধ্যে গুরু-শিষ্যের যে দারুণ সম্পর্ক এবং একই সঙ্গে অনন্ত যাত্রার পথে শামিল হওয়ার ঘটনাটি ছুঁয়ে গেছে আরেক অভিনেতা রওনক হাসানকে।
ফেসবুকে এই দুই অভিনেতা ও সহকর্মীকে হারানোর শোকগাঁথা লিখেছেন এভাবে, ‘কায়েস ভাইকে এতোই ভালোবাসতেন, যে তাঁর চলে যাবার সংবাদ শুনে নিজেই স্ট্রোক করে বসেন এবং কায়েস ভাই এর সাথে মিলিত হবার জন্য তিনিও অনন্ত যাত্রায় সামিল হলেন। আহ! শামীম ভিস্তি ভাই! গুরু শিষ্য দুজনেই এখন একসাথে শান্তিতে থাকুন।’
জুম্মার নামাজের পর তাদের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, জুম্মার পর কায়েস ভাইয়ের জানাজা হয়েছে ধানমন্ডি ১২ নম্বরের একটি মসজিদে। দুই অভিনেতাকেই শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই দুজনকে দাফন করা হবে।
নাট্যকার ও অভিনেতা কায়েস চৌধুরী কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার ডায়ালাইসিস করাতে যান তিনি। এরপর বাসায় ফেরেন। বাসায় ফিরেই মারা যান। অন্যদিকে মস্কিষ্কের রক্তক্ষরণ নিয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শামীম ভিস্তি।
অভিনয়শিল্পী সংঘ ছাড়াও তাদের মৃত্যুতে শোক জানাচ্ছেন সংস্কৃতি ও বিনোদন অঙ্গনের মানুষেরা।