সহিংসতার নিত্যনতুন কৌশল থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে ৬৫ হাজারেরও বেশি মুসলিম পালিয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। এর মধ্যে প্রায়শয়ই খবরে আসছে যে বার্মিজ মিলিটারীর হাতে এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা হত্যা, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগের মতো সহিংসতার শিকার হচ্ছে।
গত সপ্তাহে উদ্বাস্তুদের এক তৃতীয়াংশই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। রোহিঙ্গারা তাদের উপর হতে থাকা নির্যাতন সম্পর্কে জানাতে অনুরোধ জানিয়েছিলো জাতিসংঘের কাউকে ওই এলাকা ভ্রমণের। জাতিসংঘের মানবাধিকার দূত ইয়াঘি লি সেখানে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে তাকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি।
অবশ্য মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের উপর কোন ধরনের সহিংসতার কথা অস্বীকার করেছেন। সেখানকার অফিশিয়াল কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেখানে গণহত্যা বা নৃগোষ্ঠীদের উচ্ছেদের মতো কোনো কিছুই করা হচ্ছে না।
জাতিসংঘের সাপ্তাহিক রিপোর্টের বলা হয়েছে, গত সপ্তাহ থেকে অন্তত ২২,০০০ মানুষ রাখাইনের বর্ডার পার হয়েছে। সেই হিসেবে জানুয়ারির ৫ তারিখের হিসেবমতে অন্তত ৬৫,০০০ মানুষ নির্ধারিত ক্যাম্পে স্থান নিয়েছে। আর সেটা কক্সবাজারে।
এরআগে রাখাইন রাজ্যে হঠাৎই আক্রমণ শুরু করে মিয়ানমার মিলিটারী। সেখানেই বেশিরবাগ রোহিঙ্গার বাস। এরপরই মানবাধিকার সংস্থাগুলোর রিপোর্টে আসতে থাকে সৈনিকদের নানান নির্যাতনের কথা। কিন্তু মিয়ানমার সরকার বারবারই সেটা অস্বীকার করতে থাকে।