চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনের ধারা নিয়ে রিটের রায় ৫ ডিসেম্বর

মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনের তিনটি ধারার প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এবিষয়ে আগামী ৫ ডিসেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এই দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাশনা ইমাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও মো. শাহীনুজ্জামান শাহীন।

একবার কিডনি প্রতিস্থাপনের পর দ্বিতীয় দফায় সন্তানের কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে আইনি জটিলতার প্রেক্ষাপটে ঢাকার বাসিন্দা ফাতেমা জোহরা ২০১৭ সালে আইনের তিনটি ধারার বৈধতা নিয়ে রিট করেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আইনের ৩ টি ধারার বিষয়ে রুল জারি করেন। সর্বশেষ গত ২৮ আগস্ট আদালত কিডনি প্রতিস্থাপন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত জানতে চান। সে অনুযায়ী সাত সদস্য বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদন গত ৭ নভেম্বর আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে সেদিন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী মতামত তুলে ধরেন।

রিটের পক্ষের আইনজীবী রাশনা ইমাম বলেন: ১৯৯৯ সালের আইন ও ২০১৮ সালের সংশোধিত আইন অনুসারে নিকট আত্মীয় হিসেবে ২৩ জন কিডনি দান করতে পারেন। তবে বিশেষ পরিস্থিতির কারণে তাদের পাওয়া না গেলে কি হবে? যেমিনটি হয়েছে রিটকারি ফাতেমা জোহরা সন্তানের ক্ষেত্রে। তাই বিশেষ পরিস্থিতির কারণে নিকট আত্মীয় না পাওয়া গেলে তখন মানবিক কারণে যাতে কেউ কিডনিদান থেকে বঞ্চিত না হন, সেজন্যই রিটটি করা হয়। আদালত এরপর রুল জারি করেন এবং সে রুলের শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেছেন।

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন, ১৯৯৯ সালের আইনটি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সংশোধন করা হয়, যেখানে কিডনি দাতার ব্যাপ্তি বাড়ানো হয়েছে। একই বছরের সেপ্টেম্বরে আইনের আলোকে বিধিমালাও প্রনয়ণ করা হয়েছে, যার অধীনে একটি কমিটি আছে। এই কমিটির মাধ্যমে কিডনি দাতা ও গ্রহীতার কিভাবে কিডনি হস্তান্তর করবে, সে প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা যাবে।