দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ৬৮ বছরে পা রেখেছে। দীর্ঘদিনের পথচলায় ’৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধসহ গণতান্ত্রিক সকল আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আগামীর পথচলায়ও দলকে নিষ্কলুষ রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন প্রবীণ নেতারা।
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ নামের ভূখণ্ড অজর্নে আওয়ামী লীগের ভূমিকাই সব থেকে বেশি। ঢাকার টিকাটুলীর রোজ গার্ডেন প্যালেসে, ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাঙালির স্বাধীকার আদায়ের লড়াইয়ে নামে।
ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৫৫ সালে নতুন নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ।
’৫২’র ভাষা আন্দোলন, ’৬৬’র ৬ দফা এবং ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ে প্রতিষ্ঠা পায় আওয়ামী লীগ। যার প্রতিফলন ঘটে ৭০-এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে।
বাঙালি যে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তা সত্যি করার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগ, জন্ম নেয় বাংলাদেশ।
’৭৫-এর ১৫ই আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পর হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয় আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে শুরু হয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন। বঙ্গবন্ধু শহীদ হওয়ার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।
২০০১ সালে আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে তখন আবারো আঘাত আসে দলটির ওপর। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং তখনকার বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
২০০৮ এবং ২০১৪ সালে পরপর দু’বার সরকার গঠন করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সব চেয়ে দীর্ঘসময় সরকারকে নেতৃত্ব দেওয়ার পথে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।