সারাদেশে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ডাকা ধর্মঘটে নেতাকর্মী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। মিছিলটি মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু করে লেকচার থিয়েটারের সামনে দিয়ে কলাভবন ঘুরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার হয়ে মধুর ক্যান্টিনের সামনে দিয়ে ডাকসু ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের একাংশের সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, দপ্তর সম্পাদক শ্যামল বর্মণ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, ছাত্র ঐক্য ফোরামের যুগ্ম-আহবায়ক সরকার আল ইমরান, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তুহিন কান্তি দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মিছিল শেষে সমাবেশে লিটন নন্দী বলেন, সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের সন্ত্রাস ও দখলদারিত্ব কায়েম করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক হামলা করছে। তারা বেপরোয়া আচরণ ছাত্র সমাজ প্রত্যাখ্যান করবে।
‘হামলা মামলা আন্দোলনের মাধ্যমে কখনও ন্যায় সঙ্গত আন্দোলনকে দমানো যায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়া সেটার প্রমাণ করে।’
জাহিদ সুজন বলেন, ছাত্রলীগ সারা বাংলাদেশে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ডাকা ধর্মঘটে বিভিন্ন জায়গায় হামলা করেছে। এই ন্যাক্কারজনক হামলার বিচার চাই। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়ন বিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের হামলাকারীদেরকে চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে।
‘সকল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলাবাজ-মামলাবাজ প্রক্টর গোলাম রব্বানিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। কারণ তিনি বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অবিলম্বে ব্যর্থতার কারণে প্রক্টরকে পদত্যাগ করার দাবি জানাই।’