যাত্রী সঙ্কটের কারণ দেখিয়ে হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়া অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) পর্যন্ত সবমিলিয়ে ২১টি হজ ফ্লাট বাতিলের ঘোষণা এসেছে। বাতিল ঘোষিত হজ ফ্লাইটের মধ্যে ১৭টি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আর বাকি ৪টি সৌদি এয়ারলাইন্সের। ভিসা জটিলতার কারণে যাত্রী সঙ্কট হচ্ছে বলে ফ্লাইট বাতিলের পরে জানাচ্ছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট পৌঁছে ২৪ জুলাই। শেষ ফ্লাইট ২৮ আগস্ট। বিগত বছরে যা ঘটেছে তা হলো, ফ্লাইট না পেয়ে ভোগান্তিতে ছিলেন হজযাত্রীরা। কিন্তু এ বছরের চিত্র পুরোপুরি উল্টো। ফ্লাইট আছে, কিন্তু হজযাত্রী নেই। ভিসা হয়েছে ৭৩ হাজার ৭শ ২০ জনের, সৌদি আরব গেছেন ৪৮ হাজার ১শ ২০ জন। তাহলে ২৫ হাজার ৬শ জন ভিসা হাতে পেয়েও সৌদি যাচ্ছেন না কেন? এজন্য ধর্মমন্ত্রী সরাসরি দায়ী করলেন হজ এজেন্টদের। মন্ত্রী বলছেন, মূলতঃ হজযাত্রীদের সৌদি আরবে কম সময় রেখে টাকা বাঁচানোর জন্য এটা এজেন্টদের কারসাজি। প্রকৃত হজ যাত্রীরা অনেক সাধনা ও আগ্রহ নিয়ে হজ ক্যাম্পে অপেক্ষা করেন কাঙ্খিত ফ্লাইটের জন্য, অনেকে মাসখানেক আগেই অবস্থান নেন হজ ক্যাম্পে। কিন্তু ভিসা নিয়েও কেন অনেক যাত্রী যাচ্ছেন না, এর পেছনে কোনো কারসাজি আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি হজ ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশনসহ এই জটিলতা দূর করতে কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা জরুরি বলে আমরা মনে করি। হজ যাত্রীদের যাত্রা যেন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়, এই আমাদের প্রত্যাশা।