‘নিচু জমিতে’ প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘর নির্মাণ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় টেকনাফের ইউএনও’র গালি দেয়া খুবই আপত্তিকর, দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘ঢাকা পোস্ট’-এর কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সাইদুল ফরহাদকে গালির ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এরপর আদালত বলেন, ‘ঘটনার জন্য উনি (ইউএনও) দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু উনার ভাষা তো খুবই আপত্তিকর, এটা দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। কোন ‘রং হেডেড’ পারসন ছাড়া এরকম ভাবে বলতে পারে না।’
হাইকোর্ট আরও বলেন, ‘উনি যেভাবে বলেছেন সেটা কোন ভাষা হতে পারে না। মাস্তানদের চেয়েও খারাপ ভাষায় সে বলেছেন।’
এসময় হাইকোর্ট বলেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তারা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তারা যদি কোন অপরাধ করেন তাহলে আইন আছে, প্রেস কাউন্সিল আছে। কিন্তু এভাবে গালিগালাজ তো কেউ করতে পারেন না।’
গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ইউএনও মোহাম্মদ কায়সার তার অফিশিয়াল মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল করেন সাংবাদিক সাইদুল ফরহাদকে। সে সময় সংবাদ প্রকাশের কারণ জানতে চেয়ে ফরহাদকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন ওই ইউএনও। গালির ওই অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
শুক্রবার উভয় পক্ষকে নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সার খসরু।