চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

শান্তি চুক্তি মোতাবেক পার্বত্য জেলার সেনা ক্যাম্প তুলে নেবে সরকার

ধাপে ধাপে পার্বত্য তিন জেলা থেকে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প উঠিয়ে নেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেনা সদস্যদের নির্দিষ্ট ছয়টি গ্যারিসনে রাখা হবে।

জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎসহ সামাজিক খাতগুলোকে আগের মতোই গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

Bkash July

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তি হলে পরের বছর ১০ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র সমর্পণ করে শান্তি বাহিনী। অস্ত্র সমর্পণের বার্ষিকীতে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে শেখ হাসিনা জানান, পার্বত্য শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়েছে, ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে, বাকি ৯টি চলমান রয়েছে।

সামাজিক উন্নয়নে সরকার এবং বেসরকারী খাত, উন্নয়ন সহযোগিদের উদ্যোগে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

Reneta June

শান্তি চুক্তির পর গত ১৭ বছরে যেসব অঙ্গীকার পূরণ হয়নি তা পূরণে সামনের দিনে সবার সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী। তার ওপর বিশ্বাস রাখার অনুরোধ জানান পার্বত্য জলার অধিবাসীদের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় চুক্তির ধারা অনুযায়ী পার্বত্য জেলা থেকে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হবে। চুক্তিকালীন সময়ে ২’শ ৩২টি সেনা ক্যাম্প থেকে ১’শ ১৯ টি অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাকীগুলো কয়েকটি ধাপে প্রত্যাহার করা হবে। মোতায়েনরত সেনাদের দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান, রুমা ও আলীকদমের ছয়টি স্থায়ী সেনানিবাসে ফিরিয়ে নেয়া হবে। এজন্য গ্যারিসনগুলোতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ চলছে।’

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পার্বত্য জেলার অধিবাসীকে ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর স্বীকৃতি দেয়াকে বড় ঘটনা হিসেবেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View