টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আদালতে তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ সfক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন।
সাক্ষ্য দেন মোট ৪ জন। তারা হলেন- এম এ রৌফ, মাওলানা ইমান আলী, মো. হাসমত আলী ও লাল মিয়া।
সাক্ষ্যগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এ কে এম মো. নাছিমুল আখতার জানান, এ নিয়ে মামলার বাদীসহ পুলিশের জব্দ তালিকা ও সুরতহাল প্রতিবেদনের তালিকা অনুযায়ী মোট ৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করলেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার আরো ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে এবং বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে তার মৃত দেহ ফেলে রেখে যায়।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন।
২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালতে হাজির করার পর তারা প্রত্যেকেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।