চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

টাঙ্গাইলে রুপা ধর্ষণ ও হত্যা: সাক্ষ্য দিলেন আরো চারজন

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আদালতে আরো চার ব্যক্তির সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।

রোববার টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়ার কাছে সাক্ষ্য দেন তারা।

পুলিশের জব্দ তালিকা ও সুরতহাল প্রতিবেদনের তালিকা অনুযায়ী সাক্ষ্য দেন আব্দুর রশিদ, প্রবিন এন কুমার, মো. আবুল হোসেন ও মো. রহিজ উদ্দিন।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এ কে. এম মো. নাছিমুল আখতার জানান, এ মামলায় মোট ৯ জন সাক্ষ্য দেবেন। সোমবার লাল মিয়া, হাসমত আলী, আব্দুর রৌফ ও জয়নাল আবেদীনের সাক্ষ্য নেয়া হবে।

এর আগে বুধবার প্রথম সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মামলার বাদী অড়নখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।

গতবছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে এবং বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে তার মৃত দেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন।

২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আদালতে হাজির করার পর তারা প্রত্যেকেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।