রাজধানীর মিরপুর থেকে ৮ মাসের একটি শিশুকে চুরি করে বিক্রির দশদিন পর নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১১। এ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকা থেকে র্যাব শিুশুটিকে উদ্ধারের পর আজ বুধবার দুপুরে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করে।
নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত র্যাব-১১ এর প্রধান কার্য্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের কর্মীদের র্যাব এ তথ্য জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্ণেল কামরুল হাসান জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী থানা এলাকার বাসিন্দা সেতু বেগমের আট মাসের কন্যা মরিয়মকে প্রতিবেশী মিনারা বেগম চুরি করে। পরে সে শিশুটিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার দম্পতি মাসুম ও মৌসুমীর কাছে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।
এর আগে মরিয়ম নিখোঁজ হলে তার মা সেতু বেগম শাহ আলী থানায় জিডি করেন এবং পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করতে না পারায় তিনি র্যাবের কাছে পুনরায় অভিযোগনামা দিয়ে আইনি সহায়তা চান।
সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব তদন্ত চালিয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রথমে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকা থেকে মিনারা বেগমকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী র্যাব-১১ ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে ওই দম্পতিকে আটকসহ শিশু মরিয়মকে উদ্ধার করে।
লে. কর্ণেল কামরুল আরো বলেন, র্যাব এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উদ্ধারকৃত শিশু মরিয়মের মা সেতু বেগম জানান, এর আগে তার আরো তিনটি সন্তানকে অপরহণ করা হয়েছিল। তাদের একজনকে হত্যার পর রাজধানীর রমনা পার্ক থেকে লাশ উদ্ধার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। অপর দুই সন্তান এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
তিনি জানান, সর্বশেষ একমাত্র সন্তান মরিয়ম অপহরণ হলে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। থানা পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে তিনি র্যাবের সহযোগিতার আশ্রয় নিয়ে মেয়েকে ফিরে পান।