রাজধানীর শান্তিনগরে গলায় ফাঁস দিয়ে অরিত্রি অধিকারী (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। অরিত্রি ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শাখার নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।
অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার পরীক্ষা দেওয়ার সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে অরিত্রির পরীক্ষার হলে মোবাইলের মাধ্যমে নকল করছিল। তাই তাকে টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ খবর শোনার পর স্কুল থেকে অরিত্রি বাসায় ফিরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামী হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে অরিত্রির স্বজনদের রোষানলে পড়েন তিনি। পরে তিনি স্কুলে ফিরে যান।
এ বিষয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের গভর্নিং কমিটির সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুদার বলেন, ‘ঘটনাটি মর্মান্তিক। দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি, তবে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।’
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। পল্টন থানাকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
দিলীপ অভিযোগ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে আমাকে অপমান করেছে এবং জানিয়ে অরিত্রি পরীক্ষা দিতে পারবে না। এ মানসিক আঘাত সইতে না পেরে আমার মেয়ে বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করেছে।