রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বর সেকশনে গৃহকর্ত্রী রহিমা ওরফে শাহেদা বেগম (৬০) ও তার গৃহকর্মী সুমিকে (২০) শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
এই ঘটনায় সোহেল নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, টাকার জন্য সোহেল এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিরপুর ২ নম্বর সেকশনেরে একটি বাসার চতুর্থ তলা থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন বৃদ্ধা শাহেদা। সুমি আক্তার সেখানে কাজ করতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফ্ল্যাটের লোকজনের কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে দুজনের লাশ দেখতে পায়।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
নিহত রহিমা ওরফে সাহেদা বেগম ও তার পালিত ছেলে সোহেল মিরপুরের আবুল কাশেমের বাসার চার তলার একটি ফ্ল্যাটে দুই রুম ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তার স্বামী কুদ্দুছ মিয়া থাকেন যশোরে। নিহতের একটি মেয়ে রাশিদা বেগম তার পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জে বসবাসা করেন। গত সোমবার রহিমার বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে নিযুক্ত হন সুমি।
মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় বলেন, দুই কক্ষের এই বাসার একটি কক্ষের ফ্লোরে দুটি মৃতদেহ পড়ে ছিল। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে শ্বাসরোধ করে দুইজনকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ওই ফ্লাটের একটি রুমের বিছানাপত্র এলোমেলো থাকতে দেখা গেছে। আরও কিছু আলামত আমরা সংগ্রহ করেছি। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।
কৃষ্ণপদ বলেন, স্থানীয়দের কাছে শুনেছি এখানে কিছু বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা ছিল। তবে বহিরাগতরা কি কারণে এখানে আসতো সেটি জানার চেষ্টা চলছে। এর কারণ জানতে পারলে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা যাবে।
ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এই বাসায় সোহেল নামে বৃদ্ধার একটি পালিত ছেলে থাকতো। রাতে তাকে আটক করা হয়েছে।
নিহত রহিমার মেয়ে রাশেদা সংবাদ পেয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে মিরপুরে ওই বাসায় ছুটে আসেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার মা এই বাসায় একা থাকতেন। আর তাকে দেখাশোনার জন্য সোহেল নামে একটি ছেলে মায়ের সঙ্গে থাকতো। আমার মা হার্টের সমস্য ও ডায়াবেটিসের রোগী। মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে সোহেল আমাকে ফোন দিয়ে জানায় যে আপা খালাম্মাকে আর কাজের মেয়েকে কারা যেন কুপিয়ে মারছে লোকে বললো। তখন আমি আমার স্বামীকে নিয়ে দ্রুত চলে আসি।
তিনি জানান, কয়েকদিন আগে আমার মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তখন তিনি বলছেন, সোহেল তার টাকা চুরি করছিল। এই নিয়ে মন কষাকষি ছিল। আমরা ধারণা করছি টাকার জন্য সোহেল আমার মাকে আর কাজের মেয়েকে হত্যা করেছে।