যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই জন ভারতীয় ও একজন বাংলাদেশি নাগরিক।
বুধবার যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জিনোম সিকুয়েন্সের মাধ্যমে করোনার নতুন এ ধরণটি শনাক্ত করেন।
যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল কবীর জাহিদ সন্ধ্যায় ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভারতীয় দুজনের একজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় ২ জানুয়ারি, অপরজনের ৫ জানুয়ারি এবং বাংলাদেশির নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর।
ভারতীয় দুই নাগরিকের মধ্যে একজন পুরুষ, যার বয়স ৩০ বছর এবং নারীর বয়স ৪১ বছর। তাদের মধ্যে করোনার তেমন কোনো উপসর্গ নেই। বাংলদেশি নাগরিক একজন পুরুষ এবং তার বয়স ২৫ বছর। যিনি স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন বলে গবেষক দলটি ধারণা করছে। তার তিন দিন ধরে ঠান্ডা, গলা ব্যাথা ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ নেই।
গবেষক দল জানিয়েছে, ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন এ ধরনের স্পাইক প্রোটিনে ৩০টিরও বেশি মিউটেশন বিদ্যামান। ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া তিন জনের ডাটাটি জিআইএসএআইডি ডাটাবেজে জমাও দেওয়া হয়েছে।
করোনার নতুন এ ধরণটি শনাক্তের বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ওমিক্রন খুবই দ্রুত সংক্রমনশীল। এ জন্য টিকা গ্রহণ, মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন শনাক্তের কাজটি জিনোম সেন্টারে অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরণটির স্থানীয় সংক্রনের বিষয়টিও যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে শনাক্ত করা হয়।
যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে করোনার নতুন এ ধরণ শনাক্তে গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মো. আল-ইমরান, অণুজীববিজ্ঞন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শোভন লাল সরকার, এ এস এম রুবাইতুল আলম, প্রভাষক শামিনুর রহমান, জিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাস, আলী আহসান সেতু ও তৌকির আহম্মেদ প্রমুখ।