চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাকিংহাম প্যালেসে রানীর সঙ্গে ট্রাম্প-মেলানিয়ার সাক্ষাৎ

ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও রাজপরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে বাকিংহাম প্যালেসে সাক্ষাৎ করেছেন তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে আসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। সাক্ষাৎ শেষে রানীর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছেন তারা।

বাকিংহাম প্যালেসে ট্রাম্প দম্পতি পৌঁছানোর পর তাদেরকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।  ওই মধ্যাহ্নভোজে রাজ পরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি, প্রিন্স চার্লস সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প বাকিংহাম প্যালেসে উপস্থিত হলে প্রিন্স চার্লস তাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং কামানের তোপ দাগিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

এর আগে সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় তাদেরকে বহনকারী বিশেষ উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ান লন্ডন স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত উডি জনসন এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব জেরেমি হান্ট প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডিকে স্বাগত জানান।

কিন্তু এয়ার ফোর্স ওয়ান ব্রিটিশ ভূমি স্পর্শ করার ঠিক কয়েক মিনিট আগেই লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে নিয়ে একটি টুইট পোস্ট করে আবার বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। অতীতেও এ দু’জনের মধ্যে বিরোধ দেখা গেছে।

ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরের আগে সাদিক খান বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যের  ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য লাল গালিচা পেতে দেয়া উচিত নয়। অর্থাৎ ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে আমন্ত্রণ না জানানোই সমীচীন বলে বোঝাতে চেয়েছিলেন তিনি।

এবার ট্রাম্প টুইটবার্তায় বললেন, সাদিক খান একজন চরম ব্যর্থ মানুষ। তবে তারপরও মেয়রের সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী তিনি।

ট্রাম্প অভিযোগ করেন, সাদিক খান মেয়র হিসেবে ‘জঘন্য কাজ’ করছেন।

‘তিনি বোকার মতো যুক্তরাষ্ট্রের সফররত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ‘নোংরা’ আচরণ করেছেন, যে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। তিনি একজন চর পর্যায়ের ব্যর্থ মানুষ যার আসলে লন্ডনে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দিকে নজর দেয়া দরকার, আমার দিকে নয়,’ টুইটে বলেন তিনি।

যুক্তরাজ্যে এ রাষ্ট্রীয় সফরে রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করা ছাড়াও বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন এবং চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি হুয়াওয়ে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আলোচনা করার কথা রয়েছে।