একজন নয়। চলতি সাউথ আফ্রিকা সফরে দলের সবাই মিলে বল টেম্পারিং করেছে অস্ট্রেলিয়া। এমনকি কোচও সেটা জানতেন! এটি নিছক অভিযোগ নয়। টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গেছে সব ঘটনা। সেই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ক্ষমা চেয়েছেন।
স্মিথের দাবি, এর আগে কখনো এমন করেননি তারা।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড বলেছেন এই ঘটনায় তারা ‘ব্যথিত এবং সত্যিকারের হতাশ’। সঙ্গে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন।
ক্রিকেট দুনিয়ায় বহুকাল বল টেম্পারিংয়ের এমন গুরুতর অপরাধের দেখা মেলেনি। বলের কোনো পাশের রংয়ের পরিবর্তন করতে পারলে ইনসুইং, আউট সুইং এবং রিভার সুইংয়ে প্রভাব ফেলা যায়।
আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী, হাত কিংবা কোনো কৃত্রিম পদার্থ দিয়ে বলের রং চটানো কিংবা কোনো প্রকার পরিবর্তন নিষিদ্ধ। ক্রিকেটাররা বড়জোর ট্রাউজারের সঙ্গে বল ঘষতে পারেন।
১৯৯৪ সালে ইংলিশ অধিনায়ক মাইক আথারটন লর্ডস টেস্টে এই সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষেই বল টেম্পারিং করে ধরা পড়েছিলেন।
কেপটাউন টেস্টে শনিবার পকেট থেকে কিছু একটা বের করে বল ঘষতে দেখা যায় ক্যামেরুন বেনক্রফটকে। তিনি নিজে স্বীকার করেছেন অধিনায়ক স্মিথ আগে থেকেই এই ব্যাপারটি জানতেন।
বিবিসি জানিয়েছে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দুইজন কর্মকর্তা সাউথ আফ্রিকা যাবেন ঘটনা তদন্ত করতে। তবে স্মিথ আপাতত অধিনায়কই থাকছেন।
ঘটনাটি চাউর হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার সাবেকরা স্মিথদের ধুয়ে দিচ্ছেন। সাইমন ক্যাটিচ বলেছেন, অধিনায়ক স্মিথ, সহঅধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার এবং কোচ ড্যারেন লেহম্যানকে বরখাস্ত করা ছাড়া ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সামনে কোনো উপায় নেই। সাবেক পেসার রডনি হগ স্মিথকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন।