২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্টে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বল টেম্পারিং করায় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তখনকার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। বল টেম্পারিংয়ের সেই ঘটনাটি স্যান্ডপেপার-গেট কেলেঙ্কারি নামে পরিচিতি পায়।
ঘটনার চার বছর পর অজি ক্রিকেটার টিম পেইন আত্মজীবনী ‘দ্য পেইড প্রাইস’তে বিস্ফোরক দাবি করেছেন। চার টেস্টের সেই সিরিজের শেষটি জোহানেসবার্গে হয়েছিল। সেই ম্যাচে নাকি সাউথ আফ্রিকাও বল টেম্পারিং করেছিল। তবে ম্যাচ সম্প্রচারকারীরা বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছে বলে দাবি তার। যখন পেইন সাউথ আফ্রিকাকে বলের সিম আলাদা করতে দেখেছেন, তখন তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন।
একইসঙ্গে কেপটাউনে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ব্যানক্রফটের বলের উপর স্যান্ডপেপার ব্যবহার করার পরিকল্পনার বিষয়ে টিম মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার বিষয়টিও পেইন অস্বীকার করেছেন।
পেইন লিখেছেন, ‘আমি সিরিজের চতুর্থ টেস্টে টেম্পারিং হতে দেখেছি। বোলারদের প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন মিড অফে সাউথ আফ্রিকার একজন খেলোয়াড়কে স্ক্রিনে দেখানো হয়। তখন বলটিতে একটি বিশাল ফাটল ছিল।’
‘টেলিভিশনের পরিচালক যিনি ক্যামেরাকে ধরার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন, তিনি অতি দ্রুত স্ক্রিন থেকে শটটি টেনে নিয়েছিলেন। আমরা এটা নিয়ে কথা বলতে আম্পায়ারদের কাছে গিয়েছিলাম, যা অনেকের কাছে খারাপ লেগেছিল। ফুটেজটাও হারিয়ে গিয়েছিল।’
এর আগে সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটার ফ্যাফ ডু প্লেসিস তার আত্মজীবনী ফাফ: থ্রু ফায়ার-এ আলোচিত কেপটাউন টেস্টের আগেই অস্ট্রেলিয়া বল টেম্পারিং করেছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন। ডারবানে প্রথম টেস্টে মিচেল স্টার্কের বলগুলো অস্বাভাবিকভাবে সুইং করায় তা খেলা অসম্ভব ছিল বলেও ডু প্লেসিসের দাবি।