দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো আবনতি হয়েছে। বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ায় অনেকে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, প্রায় সারা দেশে আরও কয়েক দিন মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ চলবে। তবে কক্সবাজার ও লালমনিরহাটে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে।
নদ-নদীর পানি বেড়ে জামালপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, মৌলভীবাজার এবং সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের কয়েক লাখ লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। কমপক্ষে ১০ দিন পানিবন্দি থাকায় ওই অঞ্চলগুলোতে নিরাপদ পানি, খাবার ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে।
জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জামালপুর সদর, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়িতে যমুনা ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ শাখা নদীগুলোর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
গাইবান্ধায় সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি এবং সাঘাটার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলার কামারজানি বন্দরের দক্ষিণ দিকে ভাঙন শুরু হয়েছে।
নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে কুড়িগ্রামের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় নিরাপদ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে হাজার খানেক পরিবার।
সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বাড়ছেই। ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়ে বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। জেলার কাজিপুর, চৌহালি, শাহজাদপুর, বেলকুচি এবং সদর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৬টি সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার ডুবে গেছে। সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
বৃষ্টি না থাকায় কক্সবাজারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বাড়ি ঘর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে চকরিয়ায় এখনো সড়কের ওপর পলথিন বিছিয়ে বাস করছেন বন্যাকবলিত মানুষ।
বন্যার্তদের চাল ও নগদ টাকা ছাড়াও শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। তবে, প্রয়োজনের তুলনায় ত্রাণ অপ্রতুল বলছেন স্থানীয়রা।
প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য ও ভিডিওচিত্রে সাদিয়া ওমর এর রিপোর্টে দেখুন বিস্তারিত: