বনানীতে অগ্নিদুর্ঘটনা বিষয়ক অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে কাশেম ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম তসবিরুল ইসলামকে তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
রোবাবার দিনের যে কোন সময় তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার রাত ১১টার দিকে বারিধারার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
শনিবার রাতে ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করে বলেন, রাত ১১টার দিকে তাসবিরুলের বারিধারার নিজ বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। রোববার দিনের কোন এক সময়ে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হবে।
আটক তাসভির উল ইসলাম এফ আর টাওয়ারের ভবন পরিচালনা সোসাইটির সভাপতি দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ভবনটির ২০, ২১ ও ২২ তলার মালিক।
এফআর টাওয়ার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক। তিনি ১৯৯৫ সালে ভবনের নকশার জন্য রাজউকে আবেদন করেন। অনুমোদন পাওয়ার প্রেক্ষিতে রূপায়ন গ্রুপকে ভবন বানানোর জন্য জমি দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে কাজ শুরু হওয়া ভবনটি চালু হয় ২০০৭ সালে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানায়, এফ আর টাওয়ারের ফাইল ঘেটে ১৮ তলা ভবনে নকশা পাওয়া গেছে, যেটার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। তবে আরেকটি ২৩ ভবনের ড্রইং পেয়েছি, যেটির সত্যতা নেই।
অনুমোদনের বাইরে উপরের ৫ তলা তৈরির বিষয়ে ফারুকের ম্যানেজার কামাল হোসেন জানিয়েছিলেন, ১৮ তলার অনুমোদন থাকা স্বত্ত্বেও ২৩ তলা করার বিষয়ে আমাদের আপত্তি ছিলো। কিন্তু এ ভবন পরিচালনা সোসাইটির সভাপতি তাসভির বলেছেন সমস্যা নাই।
এর আগে বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে জমির মালিক (প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক) এস এম এইচ আই ফারুক (৬৫), রুপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল (৫৭), কাশেম ড্রাইসেল লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী তাসবিরুল ইসলাম (৬২) ও এফআর টাওয়ার বিল্ডিং ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দসহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকের নামে বনানী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বনানী থানায় মামলাটি করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ঘটনায় শতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হন।