বাংলাদেশকে ঘিরে সম্ভাবনাগুলো পরিকল্পিত ভাবে কাজে লাগানোর তাগিদ দিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ন্যাশনাল স্পেশিয়াল ডাটা ইনফ্রাস্টটাকচার এর
সেমিনারে তিনি বলেছেন, ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশই পারে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের
মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করতে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশব্যাপী অবকাঠামো উন্নয়ন ও ভূমি ব্যবস্থাপনাসহ চরাঞ্চলের জন্য বিশেষায়িত ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থা তৈরি ও নীতিমালা করে সবার ব্যবহার উপযোগী করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সব থেকে বেশি পলি বহন করে আমাদের দেশি নদীগুলো। এই পলি দিয়েই বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে, এটি একটি বদ্বীপ। কিন্তু সেটা আমাদের মাঝে মাঝে দুভার্গ্য সৃষ্টি করে আবার মাঝে মাঝে আর্শীবাদ। এটাই আমাদেরকে আর্শীবাদে পরিণত করতে হবে। কারণ পলি দ্বারা আমরা ভূমিটা উত্তোলন করে আমাদের ভূখন্ড অনেক বাড়াতে পারি। আমাদের মানুষের খাদ্য বাসস্থান সবকিছুর জন্য আরও প্রচুর জমি দরকার। আমরা কিন্তু ভূমি উত্তোলন করে করে এটা করতে পারব।
‘বিভিন্ন দ্বীপ অঞ্চলগুলো যে আছে আমাদের দক্ষিণে সেখানে ম্যানগ্রোভ যদি নিজেরা তৈরি করাতে পারি, কোন ধরণের গাছ যেগুলোতে জট ও শক্তিশালী শিকড় থাকে, যেমন নারিকেল বাগান। যেগুলো আমদের জলচ্ছাস থেকে আমাদের রক্ষা করবে তেমনি অর্থনৈতিক ভাবে আমরা লাভবান হতে পারব। কাজেই এ সম্ভাবনা গুলো আমাদের পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগাতে হবে।’
জাতীয় তথ্যভান্ডরসহ ডিজিটাল তথ্যের অবব্যবহার রোধে আইন করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। আর ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ।আমাদের ভৌগলিক অবস্থান আমাদের এমন আমরা যদি এর সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি তাহলে বাংলাদেশই পারে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করতে।সেভাবেই আমরা আমাদের দেশকে গড়ে তুলতে পারি। বাংলাদেশ ও আমাদের দৃষ্টান্ত হবে।
দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিচ্ছিন্ন ভাবে ভূ-পৃষ্ঠের তথ্য-উপাত্ত তৈরি, সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে থাকে। সেগুলোকে এক ছাতার নিচে আনবে ন্যাশনাল স্পেশিয়াল ডাটা ইনফ্রাস্টটাকচার। তারা সমুদ্রসীমা থেকে শুরু করে করে ভূমি জরিপ, ম্যাপিং এমনকি কোন সড়ক দুর্ঘটনা হলে কাছের চিকিৎসা কেন্দ্রের ঠিকানাও সরবরাহ করতে পারবে।
পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকার দামালকোটে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের ডিজিটাল ম্যাপিং সেন্টারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।