অচিরেই পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টকারীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
শনিবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বাংলার দর্পণ আয়োজিত ‘গৌরব- ৭১’ শীর্ষক আলোচনা ও গুনীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাস করে। হত্যাকাণ্ড কেনো করেছে কারা করেছে এগুলো সব উদঘাটন করা হবে। নিরাপত্তা বাহিনীর সবাই একযোগে কাজ করছে। হত্যাকাণ্ডের মূল কাহিনী সবই আমরা বের করবো। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবো বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের জনগণ খুব ভালো। তারা জঙ্গি সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না। পাহাড়ের হতাহতের ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরও প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, সম্প্রতি পাহাড়ে অশান্তি বিরাজ করছে। এর আগে যখন আরও বেশি অশান্তি বিরাজ করছিল তখন ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শান্তিচুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী পাহাড়বাসীর জন্য অনেকগুলো উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শান্তি চুক্তি করার পর প্রত্যেকটি দফা আমরা একে একে বাস্তবায়ন করছি। তারপরও কিছু সমস্যা থেকে যায়। তা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি।
অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদের পর এক নারী সংবাদ পাঠকের সঙ্গে নিজের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ডিআইজি মিজানুর রহমান।
ঢাকা মহানগর পুলিশ থেকে সরিয়ে দেয়া পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মিজানের এমন দুঃখ প্রকাশের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: স্যরি বললেই কি পার পাওয়া যায়? স্যরি বলে যদি মাফই পাওয়া যাবে তাহলে দেশে আইন-কানুন থাকার কী দরকার! তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। প্রমাণিত হলে স্যরি বললেও তাকে মাফ করা হবে না, অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আয়োজনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ৮ গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা, ক্রেস্ট ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়। এরা হলেন, নরসিংদী জেলার ৩১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থ প্রদান করে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখায় কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের মোল্লা, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এলাকায় ঘুরে ঘুরে চিকিৎসা প্রদান করায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে মরণোত্তর ডা. আমানুর রহমান, সাংবাদিকতায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা পারভিন, সঙ্গীতে ড. লিনা তাপসী খান, সাহিত্যে অধ্যাপক মর্তুজা বশির, অধ্যাপক ড. শফিউদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আহাদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া।