দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা দেশেই ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘দেশ ভালো থাকলে আমরা সবাই ভালো থাকবো। ভালো থাকার জন্যই দেশটা স্বাধীন হয়েছে।’
সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের বিষয়ে দেয়া প্রতিবেদন নাম-পদবি ছাড়া দাখিল করায় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান মাসুদ বিশ্বাস হাইকোর্টের তলবে হাজির হয়ে বুধবার দু:খ প্রকাশ করে ক্ষমা চাওয়ার সময় আদালত একথা বলেন।
এসময় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একেবারে দায়সারাভাবে গতকাল প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দিয়েছেন। নাম-পদবি ছাড়া একটা প্রতিবেদন উচ্চ আদালতে দিয়ে দিলেন এটা কি ‘ক্যালাসনেস’ না? আপনি আজ দু:খ প্রকাশ করে ক্ষমা চাইছে, আমরা এবার ক্ষমা করছি। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য আপনাদের সতর্ক হতে হবে।’
একপর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা দেশেই ফিরে আসবে। দেশ ভালো থাকলে আমরা সবাই ভালো থাকবো। ভালো থাকার জন্যই এদেশটা স্বাধীন হয়েছে।’

এসময় হাইকোর্ট বলেন, ‘আমরা সবাই আন্তরিক ভাবে কাজ করলে এদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হবেই।’
হাইকোর্ট আরও বলেন, ‘মানি লন্ডারিংয়ের মত অপরাধ এদেশ থেকে কমাতেই হবে। আমরা সিঙ্গাপুর থেকে ভালো হতে চাই। যদিও এখন আমরা ভালো আছি।’
একপর্যায়ে হাইকোর্ট মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে সেল গঠন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাংকে অর্থ জমাকারী বাংলাদেশীদের দের তথ্য চাওয়া-পাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে বিএফআইইউ প্রধানের প্রতি নির্দেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।