গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, অফিসে লোক বেশি থাকা আর হামলাকারীর পিস্তলের দ্বিতীয় গুলি বের না হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান শুদ্ধস্বরের মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুল। টুটুল ও তার দুই বন্ধুর ওপর হামলার সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কথাও ভাবছে পুলিশ।

তবে এ ঘটনার স্বীকার করে বিবৃতি দেওয়া আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের কোনো যোগসূত্র আছে কি-না, গোয়েন্দারা তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি।
লালমাটিয়ার সি ব্লকের ৮ বাই ৩ নম্বর লেনের এই বাড়ির চতুর্থ তলায় শনিবার দুপুরে শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের গুলি ও চাপাতির কোপে আহত হন প্রকাশক আহমেদুর রশীদ, তার বন্ধু কবি রণদীপম বসু এবং ওয়াসিকুল হক।
ওই হামলায় তিন যুবক অংশ নিয়েছিলো বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তবে ওই যুবকরা ভাড়াটিয়া খুনি কি-না বা কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য খুঁজে দেখছে গোয়েন্দা পুলিশ।
তেজগাঁও অঞ্চলের পুলিশের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক বিষয়, জঙ্গি তৎপরতা, বা অন্য কোনো গোষ্ঠীর সম্পৃর্কতা আছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি। এমনকি অতীতে যেমনভাবে আমরা এসব বিষয় খতিয়ে দেখেছি ঠিক তেমন ভাবেই গুরুত্ব দিয়ে আমরা তদন্ত করছি।
বিপ্লব সরকার আরো বলেন হামলার দায় স্বীকার করে আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দেওয়া বিবৃতি তাদেরই কি না নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। ব্যক্তি অথবা গোষ্ঠী এ ঘটনার দৃষ্টি এক দিক থেকে আরেক দিকে সরিয়ে নেওয়ার কোনো ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছে কিনা, অথবা তার দাবিটি সঠিক কিনা এই বিষয়টিও আমরা তদন্ত ও যাচাই বাছাই করে দেখছি।
এদিকে ঘটনার দুই দিন পর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অজ্ঞাত কয়েকজন যুবককে আসামী করে বিকালে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল।