ধর্মীয় কারণে মুসলমান ও শিখ সদস্যদের দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ। নতুন এক আইন করে এই দুই সম্প্রদায়ের সদস্যদের ১ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত দাড়ি লম্বা করার অনুমতি দেয়া হয়।
সেই সাথে পুলিশের বিশেষ ক্যাপের পরিবর্তে শিখদের পাগড়ি পরারও অনুমতি দেয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, সংখ্যালঘুদের আরও বেশি মাত্রায় নিয়োগের লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার জেমস নিল পুলিশে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত স্নাতকদের জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বুধবার এ ঘোষণা দেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শিখ অফিসাররা যে পাগড়ি পরবেন তার রং নেভি ব্লু এবং সাথে নিউইর্য়ক পুলিশের লোগো সংযুক্ত থাকতে হবে।

কমিশনার জেমস নিল বলেন, ‘আমরা এই পরিবর্তন করেছি এটা নিশ্চিত করতে যে, যারা মহান এই পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিতে চান তাদের সবাই যেন আবেদন করতে পারেন এবং তারা যেন সুযোগটা পুরোপুরি সেটা নিশ্চিত করতে।’
নিউইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, যে অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার নতুন আইনের ঘোষণা দেন সেখানে নিয়োগপ্রাপ্ত ৫৫৭ জনের মধ্যে ৩৩ জন মুসলমান এবং দুই জন শিখ সদস্য রয়েছে।
এই ঘোষণার পর মার্কিন শিখ সম্প্রদায় এক বিবৃতিতে বলেছে, এই ঘোষণা নিরাপত্তা ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব করার অগ্রগতিকে আরও আশাবাদী করবে। এই ঘোষণাকে শিখ সম্প্রদায়ের জন্য গৌরবের বলেও উল্লেখ করেছে তারা।
নিউইয়র্ক পুলিশের নির্দেশিকা থেকে জানা যায়, এরআগে পুলিশ অফিসারদের দাড়ি লম্বা করা নিষেধ ছিল। যদিও একটা অলিখিত নীতিতে তাদের দাড়ির দৈর্ঘ্য এক মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা করা অনুমতি ছিল।
দাড়ি রাখার নিষেধাজ্ঞাকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন একজন মুসলিম পুলিশ অফিসার। তার মামলার পরই এই সিদ্ধান্ত নিল নিউইয়র্ক পুলিশ।
নিউইয়র্ক পুলিশের অফিসার মাসুদ সাঈদ একবছর দাড়ি রাখার পর তাকে তা ছোট করতে বলা হয়, কিন্তু তিনি ছোট না করায় পরে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
মাসুদের মামলার পরই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটি ক্ষতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিল নিউইয়র্ক পুলিশ। এক বছর আগেই মাথায় স্কার্ভ পরার অনুমতি পায় সেখানকার মুসলিম নারী পুলিশ সদস্যরা।
২০১৩ সালে একই রকম একটি মামলা জিতেছিলেন ইহুদি পুলিশ অফিসার।