ছাত্রলীগের সম্মেলন ১১-১২ মে
২৪ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, ২৬ এপ্রিল উত্তর এবং ২৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলন

আগামী ১১ ও ১২ মে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শতভাগ সাফল্য সাথে দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আগের চেয়ে আরো অনেক বেগমান হয়েছে। নির্বাচন কে সামনে রেখে ছাত্রলীগ সব সময় মত ভূমিকা রাখবে। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা লক্ষ্যে ছাত্রলীগ কাজ করে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল ও বেগবান করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এই জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ওই সম্মেলন ৮ মার্চ স্থগিত করা হয়।
২০১৫ সালের ২৬ ও ২৭ জুলাই ছাত্রলীগের ২৮তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে সাইফুর রহমানকে সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি কতটুকু সফল হয়েছে বলে আপনি মনে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, আমিতো মনেকরি শতভাগ সফল। শতভাগ সফলতার পরে কিন্তু ব্যর্থতা থাকে না।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে আমি ব্যর্থ মনে করছি না। আমরা যদি কোন ভুল করে থাকি তা আপনারা (সাংবাদিক) দেখবেন। তা ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আপনাদের।
আগামী নির্বাচনের আগে আপনাদের এ সম্মেলনকে কিভাবে দেখছেন, কোন চাপের কারণে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করছেন এমন প্রশ্নে সোহাগ বলেন, আমরা অব্যশই ভালো চোখে দেখছি। কিসের চাপ? আমরা আমাদের একমাত্র অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ নির্দেশেই এ সম্মেলন হচ্ছে।
নতুন নেতৃত্ব কি ভোটের মাধ্যমে হবে না সিলেকশনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সোহাগ বলেন, নেতৃত্ব আমাদের গঠনতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ীই হবেই। গঠনতন্ত্রের পরেও আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বলবেন সেভাবেই হবে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমাদের সকল প্রস্তুতি থাকেবে। তারপরেও আমাদের একমাত্র অভিভাবক শেখ হাসিনা যে নির্দেশ দিবেন সেই অনুযায়ীই হবে।
সফলতা ব্যর্থতা নিয়ে জাকির বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি সকল কর্মকাণ্ডে আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমরা দুইভাই মনে করি ছাত্রলীগের যত অর্জন আছে তা কেন্দ্রীয় কমিটি সকল নেতা ও ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের। অন্যদিকে সকল ব্যর্থতার দায়বার আমাদের দুইজনের। তারপরও আমাদের সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ধারণ করবে দেশের ছাত্রসমাজ ও জনগণ।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া উপলক্ষে আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী আনন্দ র্যালি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
এর মধ্যে ৮ এপ্রিল, রোববার বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং ৯ এপ্রিল, সোমবার সব জেলা, মহানগর, হল, উপজেলা, থানা ও পৌরসভায় আনন্দ র্যালি আয়োজন করা হবে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তিন সংগঠনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও উপস্থিত ছিলেন না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স, ঢাকা উত্তর শাখার সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান, দক্ষিণের সভাপতি বায়েজিদ আহমেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।