করোনা পরিস্থিতির কারণে পাহাড়ে এবার বৈসাবী উৎসব পালন করবে না পাহাড়ে বসবাসরত ১৩টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ।
পাহাড়ে বসবাসরত ১৩টি নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বৈসাবী উৎসব এবার পালন করা হবে না বলে সংবাদ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা হেডম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা।
তিনি বলেন: প্রতি বছর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা তাদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, বিষু, বিহু (বৈসাবি) ধুমধামের সাথে পালন করে থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাস এর কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এ বছর বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু (বৈসাবি) পালনে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি রাঙ্গামাটি হেডম্যান এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
তবে তিনি জানান: কেউ চাইলে সীমিত পরিমাণে পারিবারিকভাবে বৈসাবি পালন করতে পারেন। রাঙ্গামাটি জেলার সব হেডম্যান ও কার্বারীদের করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করছি।
প্রতি বছর বৈসাবী উৎসবকে ঘিরে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি পাহাড়ী পল্লীগুলোতে সপ্তাহব্যাপী নানা ধরনের বর্ণাঢ্য আয়োজন থাকলেও করোনার কারণে এবার নিস্তব্ধ রাঙ্গামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলা।
রীতি অনুযায়ী বৈসাবী উৎসব উপলক্ষে ১২ এপ্রিল পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে তিন দিনের সার্বজনীন উৎসব শুরু হয়। ১৩ এপ্রিল উদযাপিত হয় মূল বিজু এবং ১৪ এপ্রিল অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ পালিত হয় পাহাড়ীদের গোজ্যাপোজ্যে দিন ও বর্ষবরণ উৎসব।