চাঁদপুরের কাঠ মিস্ত্রি আতিক উল্লাহ এবং কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবদুল কুদ্দুসে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সমাবেশে যোগ দিতে। কে জানতো আর ফেরা হবে না তাদের। পরিবার-পরিজন ও কাছের মানুষদের কাঁদিয়ে পাড়ি জমাবেন না ফেরার দেশে।
বাড্ডার মাহমুদা বেগমও সেদিন উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে। চাকুরির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় এ নারী নেত্রী প্রাণ নিয়ে ফিরলেও শরীরের অসংখ্য স্প্রিন্টার প্রতি মুহূর্তে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে সে বিভীষিকাময় দিনের কথা।
কথা হচ্ছিলো পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আতিক উল্লাহকে হারানো পরিবারের সাথে। পরিবার প্রধানকে হারিয়ে আর্থিক অনটনে থাকা পরিবারটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাওয়া ১০ লাখ টাকায় অভাব কমলেও স্বজন হারানোর বেদনায় এখনও কাতর।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আর্থিক সহয়তায় কিছুটা সচ্ছলতা ফিরলেও এখনও তাদের তাড়িয়ে বেড়ায় সেদিনের আতংক। আতিক উল্লাহর মতো পরিবারের স্বজনদের দাবি তারা বেঁচে থাকতেই যেনো ঘৃণ্য এই হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ সরকার সম্পন্ন করে।
কর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যাওয়া মাহমুদা বেগম শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন ৪শ’র উপরে স্প্রিন্টার। তিনি বলেন, আমি এখন শুয়ে থাকতে পারি না। আগুনের কাছে গিয়ে কোন প্রকার কাজ করতে পারি না।
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আহতরা মনে করেন, সেই ভয়াবহতা থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজনীতিতে হত্যা, হামলা, ষড়যন্ত্রের অবসান হওয়া উচিত।