চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

একদিকে তিনি বিদ্রোহী, আরেকদিকে রানী

টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন প্রতিবাদ দিয়েই। করোনা মহামারীর মাঝেও মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি পুলিশের অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন মাটিকেই নিয়েছেন বেছে। প্রতি ম্যাচে মাস্কে থাকত নিপীড়িত একজনের নাম। ফাইনালেও ব্যতিক্রম হয়নি। নিপীড়িতদের আশীর্বাদই বর্ষিত হল কিনা, পিছিয়ে পড়েও দারুণ লড়াই উপহার দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইউএস ওপেনের রানী যে এখন নাওমি ওসাকাই।

ওসাকার দারুণ প্রত্যাবর্তনে কপাল পুড়েছে বেলারুশের ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার। যেভাবে শুরু করেছিলেন, প্রতিপক্ষের ম্যাচে ফেরার কথাই নয়! প্রথম সেট হেসেখেলে জিতেছেন ১-৬ গেমে, দ্বিতীয় সেটেও ছিলেন অগ্রগামী। কিন্তু ওসাকার র‍্যাকেটে এরপর ভর করে ম্যাজিক, ঘুরে দাঁড়িয়ে পিছিয়ে থাকা সেটটা তো জিতেছেনই, ম্যাচই জিতে নিয়েছেন শেষপর্যন্ত। ১-৬, ৬-৩, ৬-৩ গেমে।

Bkash July

প্রথম সেট, পরে দ্বিতীয় সেট যখন হারতে বসেছেন, আকাশের দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন ওসাকা, এরপরই ঘুরে দাঁড়ানো শুরু। শূন্যে চেয়ে কী শক্তি নিয়েছেন সেটার দারুণ এক জবাব দিয়েছেন ২২ বছর বয়সী জাপানি তারকা।

‘আমি দেখেছি মহাতারকারা যখনই পথ হারিয়ে ফেলেন, তখনই আকাশের দিকে চেয়ে থাকেন। আমি সবসময়ই দেখতে চেয়েছি যে তারা কী দেখেন।’

Reneta June

প্রতি ম্যাচে একজন নিহত কৃষ্ণাঙ্গের নাম মাস্কে লিখে এনেছেন ওসাকা। ফাইনালে লেখা ছিল তামির রাইসের নাম, ২০১৪ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সী কিশোরটি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।

এমন পদক্ষেপ মানুষের মনে নাড়া দিতে পেরেছে বলেও খুশি ওসাকা, ‘আমি আরও বেশি মানুষের নাম লিখে আনতে চাই। অবশেষে মানুষ এ নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে।’

ওসাকার দিনে নিজেকে অভাগী ভাবতে পারেন ৩১ বছর বয়সী আজারেঙ্কা। গত ২৬ বছরে তিনিই প্রথম নারী প্রতিযোগী, যিনি ইউএস ওপেনের ফাইনালে প্রথম সেট জিতেও শিরোপা নিতে পারেননি। সবশেষ ১৯৯৪ সালে এমন ঘটনা দেখা গিয়েছিল। কিংবদন্তি স্টেফি গ্রাফের কাছে প্রথম সেট হেরেও গ্র‍্যান্ডস্লাম জিতে নেন আরেঞ্জা ভিকারিও সানচেজ!

ISCREEN
BSH
Bellow Post-Green View