দেশের অন্যতম ওষুধ প্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস স্বল্পসময়ের মধ্যে উৎপাদন করতে যাচ্ছে রেমডেসিভির। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় মূলত এই ওষুধটি ব্যবহ্নত হবে।
রেমডেসিভির ইতিমধ্যেই করোনা চিকিৎসায় কিছুটা হলেও নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
ইতোমধ্যে দেশের প্রথম সারির ওষুধ কোম্পানি ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস এই ওষুধটি উৎপাদনের কাজ সম্পন্ন করেছে। নিনাভির ব্র্যান্ড নামে এই ওষুধটি দ্রুততম সময়ের মাঝেই বাংলাদেশের মানুষ হাতে পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এর সাথে এই ওষুধটির পর্যাপ্ত পরিমাণ সরবরাহও নিশ্চিত করা হবে বলে জানা গেছে। প্রতিটি ইনজেকশনের মূল্য রাখা হয়েছে ৫০০০ টাকা।
রেমডেসিভির মূলত একটি অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ। এটি কাজ করে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। এই ওষুধটি মূলত তৈরি করছে ইউএসএর একটি বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, গিলিয়াড সাইন্স। বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে যে এটি করোনা রুগিদের ক্ষেত্রে কার্যকর, বিশেষ করে যারা মারাত্বকভাবে আক্রান্ত। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর শুধুমাত্র এই ওষুধটিকে তাদের দেশে করোনা রোগীদের জন্য ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। রেমডিসিভির ইনজেকশন হিসেবে ৫-১০ দিনের মেয়াদে দেওয়া হয়।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ডিজিএম মার্কেটিং ফার্মাসিস্ট মো. হাবিবুর রহমান বলেছেন, সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে এই ওষুধটি দ্রুততম সময়ের মাঝে নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি এই ওষুধটি যেন শুধুমাত্র করোনারোগীরা পান তাও বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। প্রসঙ্গক্রমে, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস প্রথম থেকেই করোনা রোগীদের জন্য যে ওষুধগুলো সফলতা দেখিয়েছে যেমন-হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, ফ্যাভিপিরাভির সেগুলো দ্রুততম সময়ের মাঝে নিয়ে এসেছে। আর এই ওষুধগুলো যাতে বাংলাদেশের মানুষ পায় তার জন্য এই ওষুধগুলোর রপ্তানিও বন্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রেমডেসিভির ইনসেপ্টা ছাড়াও বেক্সিমকো, এসকায়েফ, স্কোয়ার, বিকন, হেলথকেয়ারসহ মোট ছয়টি কোম্পানী উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে।