আজ ইতনা গণহত্যা দিবস। মুক্তিযুদ্ধকালীন এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে নিরস্ত্র মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। সেদিন পাক বাহিনীর বর্বরতার শিকার হন ইতনা গ্রামের ৩৯ জন নারী, পুরুষ, শিশু। মুক্তি সংগ্রামে আত্মউৎসর্গকারি এই মানুষগুলোকে স্বাধীনতার ৫০ বছরেও রাষ্ট্রীয়ভাবে দেয়া হয়নি শহীদ স্বীকৃতি, তাদের স্মৃতি সংরক্ষণেও নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ।
একাত্তরের ২৩ মে, সবেমাত্র ভোরের আলো ফুঁটতে শুরু করেছে, তখনও চোখ থেকে ঘুমের রেশ কাটেনি ইতনাবাসীর। ঠিক সেই মুহুর্তে ভোরের নিস্তব্ধতা খানখান করে গর্জে ওঠে শত্রুর মেশিনগান।
পার্শ্ববর্তী ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্প হতে গানবোট যোগে এসে হানাদার বাহিনী ইতনা গ্রামে ভয়াবহ আক্রমন চালায়। বারুদের কটু গন্ধ মুহুর্তে আচ্ছন্ন করে ফেলে গ্রামের সবুজ শ্যামলীমার ভোরের বাতাসের স্নিগ্ধতাকে। প্রাণভয়ে দিকবিদিগ ছুটতে থাকেন সবাই। এ সময় পাক বাহিনীর নির্বিচার গুলি বর্ষণে ঝরে পড়ে ৩৯টি তাজা প্রাণ।
স্থানীয়দের অভিযোগ ইতনার সেই সব শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে নেয়া হয়নি কোন যথাযথ উদ্যোগ। রক্ষিত হয়নি রক্তেভেজা সেই ইতিহাস। ফলে অযত্ন অবহেলায় শহীদদের কবরগুলোর অস্বিত্ব আজ বিলিন হতে চলেছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে শহীদদের নামের একটি ফলক স্থাপন করা হলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরে নির্মিত হয়নি কোন স্মৃতি স্তম্ভ, মেলেনি তাদের জাতীয় স্বীকৃতি। শহীদ পরিবারগুলোও দিন কাটছে সামাজিক নানা বঞ্চনা অবজ্ঞার মাঝে।

নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নেবে।