নানা সময়ে আলোচনায় এসেছেন মুক্তির প্রতীক্ষায় থাকা দুই ছবির নায়িকা মাহবুব সানাই। সম্প্রতি একটি ‘আইটেম সং’ ঘরানার মিউজিক ভিডিও দিয়ে ফের আলোচনায় এই অভিনেত্রী। অনেকেই এটির বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ আনছেন। তবে এসব নিয়ে ভাবিত নন সানাই। নিজের অভিনয়, আলোচনা-সমালোচনা ও সাম্প্রতিক কাজ কর্ম নিয়ে তিনি কথা বলেছেন চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে:

সম্প্রতি ‘দিয়াশলাই’ নামে একটা আইটেম গান অনলাইনে মুক্তি পেলো, আপনি সেখানে মূল পারফর্মার। গানটিকে অনেকেই অশ্লীল বলছেন, আপনার কী অভিমত?
এটা অশ্লীল! না, এরকম কিছুতো এই গানে নেই। এরআগেও বাংলা আইটেম গানে এরচাইতেও বেশী হট সিন দেখা গেছে। আমার গানেতো সেরকমও কিছু নেই। এ বিষয়ে আমার একটা প্রশ্ন হলো, কেউ করলে কোনো প্রবলেম নেই কিন্তু আমি যাই করি সেটাতেই দোষ! আমি চা খাইলেই দোষ, কফি খাইলেই দোষ-এরকম একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি যাই করি না কেনো, সেটাতেই দোষ খোঁজার একটা প্রবণতা অনেকের মধ্যে শুরু হয়েছে।
তার মানে গান ভিডিওটির বিরুদ্ধে অশ্লীলতার যে অভিযোগ, সেটা আপনি মাথায় নিচ্ছেন না?
দেখুন, এখানেতো আমি পারফর্মার। এই গান যিনি লিখেছেন, যিনি কোরিগ্রাফি করেছেন, যিনি ডিরেকশান দিয়েছেন তারাতো কেউ সমালোচিত হচ্ছেন না। আমিতো জাস্ট একজন পারফর্মার, এই গান যদি অশ্লীল হয়েই থাকে সেটা আমার দিকে মানুষ আঙুল তুলছেন কেনো! এর দায় কী আমার? আর এমনিতেও কিছু মানুষ আছেই আমার সমালোচনা করার জন্য, আমি সত্যি সত্যিই এগুলো খুব এনজয় করি। (এরপর হঠাৎ কথা থামিয়ে সানাই বললেন, আমি কিন্তু মরণোত্তর চক্ষু দান করছি)।
সত্যিই কি মরণোত্তর চক্ষু দান করছেন সানাই? নাকি এমন কোনো চরিত্রে অভিনয় করছেন?
না না। আমি সত্যি সত্যিই মরণোত্তর চক্ষু দান করছি।
এমন চিন্তা কবে, কীভাবে এলো?
বেশকিছু দিন আগে আমার কাছের একজন আত্মীয় মারা যান। তার বয়স খুব বেশী ছিলো না। তার মৃত্যুর পর আমার মধ্যে এক ধরণের অনুভূতি কাজ করলো যে, মানব কল্যাণই শেষ কথা, মানুষের যা কিছু আছে তা মানুষের জন্যই। আমি ভাবলাম, আমার এতো সুন্দর চোখ থেকে কী এমন লাভ, যদি সেটা মানুষের কল্যাণে না আসে! তখন থেকেই আমি মরণোত্তর চোখ দান করার সিদ্ধান্ত নেই।
এরপর কি বিষয়টি নিয়ে কারো সাথে কথা বলেছেন?
হ্যাঁ,সন্ধানী আই কেয়ারের সাথে কথা বলেছি। আমি ইতোমধ্যে ফর্ম-ফিলাপও করে ফেলেছি। ফর্ম ফিলাপ করার পর যে স্পিরিচুয়াল শান্তিটা আমি পেয়েছি, এটা গতো এক বছরে আমি পাইনি। এখন সন্ধানী আই কেয়ার থেকে একটা কনফার্মেশন মেসেজ দিবে, সেটা পেলেই চক্ষু দান করার বিষয়টি একেবারে পাকাপোক্ত।
চক্ষু দানের সংবাদ প্রকাশের পর হয়তো কথা উঠতে পারে যে, আপনি আলোচনায় আসার জন্য এটা করছেন? এরকম প্রশ্নগুলো কীভাবে ডিল করবেন?
আলোচনায় থাকার জন্য বা আলোচনায় আসার জন্য কেউ চোখ দান করার সিদ্ধান্ত নেবে না। শুধু এই কারণে মানুষ মানুষের চোখ দান করতে পারে না। নিজেকে সবাই ভালোবাসে।
আপনার কোনো সিনেমাতো এখনো মুক্তি পায়নি। কী খবর সিনেমাগুলোর?
হ্যাঁ, আমার দুটি ছবির কাজ শেষ। মুক্তির দিন গুনছে। ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য আমার প্রডিউসার আপাতত মুভ করছেন না। আসছে কোরবানি ঈদের পর আমার ‘ময়নার ইতিকথা’ এবং ‘সুপ্ত আগুন-দ্য হিডেন ফায়ার’ ছবি দুটি সেন্সরে জমা দেয়া হবে, এবং ঈদের পর পরই সিনেমা হলে ছবিগুলো মুক্তি।