আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চল নীলক্ষায় দুইদল গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়ানক টেঁটাযুদ্ধ হয়েছে। পুলিশ ও দুই দল গ্রামবাসীর ত্রিমুখী এই সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৪ জন।
গুলি ও প্রতিপক্ষের টেটার আঘাতে আহত হয়েছে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তিন এসআই ও দুই কন্সস্টেবলসহ কমপক্ষে ৩০ জন। আটক করা হয়েছে ১৩ জনকে।
আজ সোমবার দুপুরে জেলার রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, মোমেন মিয়া, মানিক মিয়া ও খোকন সরকার। তবে ত্রিমুখী এই সংঘর্ষে কেউ নিহত হয়নি বলে জানায় নরসিংদী পুলিশ সুপার।
পুলিশ ও এলকাবাসী জানায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক ও বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে গত শনিবার থেকে আজ সোমবার ৩দিন যাবত এই সংঘর্ষ চলছে।
আজ সকালে উভয় পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এসময় পুলিশের উপর ককটেল ও টেঁটা নিক্ষেপ করে হামলা চালায় গ্রামবাসীরা। এসময় ত্রিমুখী সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
এতে ককটেলের স্প্রিন্টারে আহত হয় রায়পুরা থানার ওসি আজহার উদ্দিন। এই হামলায় ককটেল ও টেঁটার আঘাতে ৩ জন এসআই ও ২জন কনস্টেবল সহ ৩০ জন আহত হয়েছে।
থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ। আহতরা স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী বাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।