‘সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে এফডিসিতে আমার মতো নতুন একজন আজিজ লাগবে। যিনি আবার মৃতপ্রায় সিনেমাকে টেনে তুলবেন। যেমনটা আমি ২০১১ সাল থেকে করে আসছিলাম।’
কথাগুলো দেশের প্রভাবশালী চলচ্চিত্র প্রযোজক আবদুল আজিজের। করোনা পরবর্তী সময়ে চলচ্চিত্রের অবস্থা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে এভাবেই নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন চ্যানেল আই অনলাইনকে।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১১ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন আবদুল আজিজ। পরের বছর ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবির মাধ্যমে প্রযোজনা শুরু করে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪২ টির বেশি ছবিতে লগ্নি করে জাজ।
এ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চলচ্চিত্রে একদিকে ভালোবাসার রঙ, পোড়ামন, অনেক সাধের ময়না, রোমিও ভার্সেস জুলিয়েট, অগ্নি ২, শিকারী, নবাব, পোড়ামন ২, হিট ছবি দিয়ে সমৃদ্ধ করেছে তেমন উপহার দিয়েছেন বাপ্পী, মাহি, নুসরাত ফারিয়া, রোশানের মতো শিল্পীদের। দেশিয় ছবিতে লগ্নির পাশাপাশি যৌথ প্রযোজনাতেও ছবি নির্মাণ করে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচিত হয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।
করোনা পরবর্তী সময়ের কথা উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, আগামিতে ৪০ টির মতো সিনেমা হল থাকবে। এতে করে ইন্ডাস্ট্রি সার্ভাইভ করবে না।
বিভিন্ন অনলাইন স্ট্রিমিং বা অ্যাপ টার্গেট করে ছবি মুক্তি দিতে হলে সেখান থেকে পুঁজি ফেরত আনাকে সহজভাবে দেখছেন না প্রযোজক আজিজ। তিনি বলেন, এখান থেকে সাফল্য পেতে অনেক সময় লাগবে।
চলচ্চিত্রের স্বার্থে শিল্পীরা পারিশ্রমিক কমানোর উদ্যোগ নিলেও এতে টিকে থাকা মুশকিল হবে মনে করেন আবদুল আজিজ। তার ভাষ্য, ইন্ডাস্ট্রি সার্ভাইভের জন্য দরকার হবে যথাযথ ব্যবসায়িক পলিসি, অর্থ ও ক্রিয়েটিভি।
করোনা পরবর্তীতে চলচ্চিত্রের জাজের ভূমিকা কী থাকবে জানতে চাইলে আবদুল আজিজ বলেন, জাজ এ বিষয়ে পরবর্তীতে ঘোষণা দেবে।