কয়েকদিন আগে উয়েফার বর্ষসেরা অনুষ্ঠানে ছিলেন না। সমালোচনা হলেও কথা বাড়েনি। সোমবার রাতে ‘ফিফা বেস্ট’ অ্যাওয়ার্ডেও যখন গরহাজির লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, সমালোচনাটা বাড়ছেই। অনুষ্ঠানে না থাকার কারণে সাবেক ফুটবলারদের তোপে পড়েছেন দুই মহাতারকা।
লুকা মদ্রিচ এবারের ফিফা বর্ষসেরা। কিন্তু তার আগের একযুগে সেরার মঞ্চ ও পুরস্কার ভাগাভাগি করে নিয়েছেন মেসি-রোনালদোই। সেই দুজন অনুষ্ঠানে যাননি, কথা ওঠা অবধারিত ছিল। কড়া সমালোচনাই করেছেন ফ্যাবিও ক্যাপেলো, ডিয়েগো ফোরলান এবং ডেভিড সুকার।
সেরা তিনে থেকেও পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে ছিলেন না রোনালদো। আর এবার সেরা তিনেই ছিলেন না মেসি। তিনিও লন্ডনে যাননি। মেসি-রোনালদোবিহীন মঞ্চে ‘ফিফা বেস্ট’ অ্যাওয়ার্ড হাতে তোলেন রিয়াল ও ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদ্রিচ।
গত দুই মৌসুমে ‘ফিফা বেস্ট’ পুরস্কার জিতেছেন রোনালদো। ফিফা-ব্যালন ডি’অর মিলে মোট পাঁচবার সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। চারবার ব্যালন ডি’অর ও একটি ফিফা সেরাসহ রোনালদোর সমান পাঁচবার জিতেছেন মেসিও। অথচ তারা দুজনই সেই অনুষ্ঠানে এবার অনুপস্থিত।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে ইতালিয়ান গ্রেট কোচ ক্যাপেলো বলেছেন, ‘মেসি এবং রোনালদোর অনুপস্থিতি? এটা খেলোয়াড়দের এবং বিশ্ব ফুটবলের প্রতি শ্রদ্ধার ঘাটতি। এটা সম্ভব হয়েছে তারা খুব বেশি জিতেছেন বলে এবং তারা হারতে পছন্দ করেন না। জীবনে আপনি তখনই সেরা হবেন, যখন জেতার সঙ্গে হারতেও শিখবেন।’
উরুগুয়ে এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক তারকা ফোরলান দুই মহাতারকার মধ্যে শ্রদ্ধার অভাব দেখছেন।
ফোরলান বলেছেন, ‘এটা একটা দুঃখের বিষয়। গত বছর মেসি জেতেননি, কিন্তু অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এটা মদ্রিচের মতো রোনালদোর ক্ষেত্রে ঘটলেও একরকম কষ্টের হতো।’
উরুগুয়ের সাবেক অধিনায়কের আরও সংযোজন, ‘এই ইভেন্ট প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য এবং এখানে(অনুষ্ঠানস্থল) আসাটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাতে কে জিতল সেটা বড় কথা নয়। একজন খেলোয়াড়কে নিজের কাজের সঙ্গে মনোভাবকেও দেখাতে হবে, কারণ তারা সারা দুনিয়ার রোলমডেল।’
১৯৯৮তে ফিফা বর্ষসেরায় জিনেদিন জিদান ও ব্রাজিলিয়ান রোনাল্ডোর পেছনে থেকে দৌড় শেষ করেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার কিংবদন্তি সুকার। মেসি-রোনালদোর অনুপস্থিতিকে অখেলোয়াড়সুলভ মনোভাব বলে উল্লেখ করেছেন তিনি, ‘আপনি যখন জিতবেন তখন আপনাকে ভদ্রলোক হতে হবে, আর যখন হারবেন তখনও ঠিক তাই।’