২০১৪ সালে উদ্বোধনের পর সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গড়িয়েছিল টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ৬টি ম্যাচ। তবে রোববারের আগ পর্যন্ত স্বাগতিক দলকে আতিথ্য দেয়ার সুযোগ পায়নি ভেন্যুটি। বাংলাদেশ দলের প্রথম পদার্পণের ম্যাচে তাই টস হয়েছে সোনালী রংয়ের বিশেষ কয়েনে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখতে উদ্যোগ নেয় সিলেট বিভাগীয় জেলা ক্রীড়া সংস্থা। বিশেষ কয়েনে টসভাগ্যে জয়ী হয় বাংলাদেশই। যদিও লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ফিল্ডিং করছে লাল-সবুজের দল।
শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে লাক্কাতুরায় অবস্থিত সিলেট স্টেডিয়ামটি। পাহাড়, চা বাগান, ঘন বনের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে অনিন্দ্য সুন্দর গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড, টেলিভিশনের আদলে চার কোণা মিডিয়াবক্স, দেশের একমাত্র গ্রিন গ্যালারির দেখাও মিলবে। আউটফিল্ডও সবুজে ঢাকা! এককথায় সবুজ গালিচার মাঝে ক্রিকেট!
অনেক নতুনত্ব। বিপিএল খেলতে গিয়ে মাশরাফী-সাকিব-মুশফিকদের কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল নয়নাভিরাম স্টেডিয়ামটির বন্দনা। বন্দনায় বাদ যাননি বিদেশি ক্রিকেটাররাও। শ্রীলঙ্কার কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেও প্রথম দর্শনে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন।
সিলেটে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের ম্যাচ গড়াবে এমন আঁচ পাওয়া গিয়েছিল গত বিপিএল শুরুর সময়ে। দর্শক থেকে ক্রিকেটার, সিলেটের সবুজে ঢাকা মাঠ ও চারপাশের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে সবাইকে। স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য ও সিলেটবাসীর ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ দেখে মুগ্ধ হন বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপনও। সিলেটের সন্তান বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত নতুন ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেন তখনই।
এবার সিলেটবাসীর স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল আশা প্রকাশ করেছেন এ বছরই টেস্ট ভেন্যু হিসেবেও নাম লেখাবে স্টেডিয়ামটি।