ফিফা প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ। মালেতে অধরা জয়ের দেখা পেতে মরিয়া জামাল ভূঁইয়ার দল। অন্যদিকে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে হারানোয় লক্ষ্য মালদ্বীপ কোচ ফ্রান্সেস্কো মরিয়েরোর।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় মালদ্বীপের জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে নামবে লাল-সবুজের দল। ম্যাচের আগেরদিন আশার কথা বলেছেন জামালদের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
‘এখানকার আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে অনুশীলন সেশন ভালোভাবে কাজে লাগাতে চাই। আমাদের হাতে সময় খুব কম। ছেলেরা জানে তাদের কী করতে হবে। তরুণ ও অভিজ্ঞদের মিশেলে আমাদের দলটা দারুণ। উপমহাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আমরা। এখানকার আবহাওয়া আমার পরিচিত। বেশকিছু ক্লাবের সাথে কাজ করেছি। আশা করি ম্যাচে পরিকল্পনা সাজাতে এসব আমাকে সাহায্য করবে।’
গত বছর অক্টোবরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল জামাল ভূঁইয়ার দল। এবার লক্ষ্য প্রতিপক্ষের মাঠে হুঙ্কার দেয়া। জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
‘কোচ আমাদের নিয়ে গত চার-পাঁচদিন যাবত কঠোর পরিশ্রম করছে। ফুটবলাররা সবাই ভালো করতে চায়। আমরা সবাই মাঠে নামতে মুখিয়ে আছি। মালেতে অধরা জয় পেতে চাই।’
‘জেমি, অস্কার ও কাবরেরার সবার পরিকল্পনায় আলাদা। আমরা ফুটবলাররা পাঁচ-সাত বছর যাবত এক সাথে আছি। আশা করি তার পরিকল্পনার সাথে মানিয়ে নিতে পারব। আমাদের দলে তরুণ ও অভিজ্ঞদের মিশেল আছে। ভিন্ন কোচ, ভিন্ন পরিকল্পনা, ভিন্ন ম্যাচ। ভিন্নভাবেই ম্যাচ জিততে হবে।’
‘জানি এটা মালদ্বীপের ঘরের মাঠ। এরপরও চাই এখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা মাঠে আসুক। আমাদের সমর্থক জোগাক। মালদ্বীপ ফেডারেশনের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, এখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা যেন মাঠে আসরা টিকেট পায়।’ বলেছেন জামাল।
মালদ্বীপ কোচ ফ্রান্সেস্কো অবশ্য ছাড় দিতে নারাজ। ঘরের মাঠে গ্যালারি ভর্তি সমর্থকদের কাজে লাগিয়ে ম্যাচে জয় তুলতে চান।
‘এর আগে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের বিপক্ষে আমাদের হতাশ হতে হয়েছিল। এবার আমাদের মাঠে খেলা, তাই ছেলেদের নিয়ে আশাবাদী। এখানকার ঘরোয়া লিগের প্রায় সব ম্যাচ দেখেছি। সব ফুটবলার আমার পরিচিত। এখানে অনেক তরুণ ফুটবলারকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। কিছু অভিজ্ঞ ফুটবলার রয়েছে, যারা ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। বাকিটা কালকের ম্যাচের জন্য তোলা থাক।’
‘আমাদের ভালো সুযোগ রয়েছে। নতুন যারা সুযোগ পাবে, তাদের জন্য এটা ভালো সুযোগ। আমার জন্যও এটা দারুণ সুযোগ ছেলেদের মানসিকতা যাচাই করে নেয়ার। এখানকার সমর্থকদেরও দেখতে চাই, তারা কতটা ফুটবলপ্রেমী। দর্শকরা গোল উৎসব করতে মাঠে আসবে। ছেলেদের ভালো ফুটবল দেখতে মুখিয়ে আছি।’