নিয়মরক্ষার ম্যাচে পাকিস্তানকে জয়ের জন্য ১৫১ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ওপেনিং জুটিতে দিনেশ চান্দিমাল এবং
তিলেকারত্নে দিলশানের ১১০ রানের জুটির পর দিলশানের ৭৫ রানের হার না মানা ইনিংসের ওপর ভর করে ২০ ওভার শেষে চার উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান আসে চান্দিমালের ব্যাট থেকে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
উমর আকমলের সঙ্গে ৩৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেরেন সরফরাজ আহমেদ। মিলিন্ডা সিরিবর্ধনের বলে তিনি এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন। তার বিদায়ে এখন ক্রিজে আছেন উমর আকমল এবং শোয়েব মালিক।
হাফিজ ফেরার ২৫ রান বাদে ফেরেন সারজিল খান। তিনি দিলশানের শিকার।
কাপুগেদারার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।
শুরুতেই মোহাম্মদ হাফিজকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের সাফল্য এনে দিয়েছেন সেহান জয়সুরিয়া। ব্যাক্তিগত ১৪ রানে তিনি জয়সুরিয়ার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
দলের নেতৃত্ব পেয়েই যেনো জ্বলে উঠলেন চান্ডিমাল। এশিয়া কাপে ওপেনিং জুটির রান ক্ষরা কাটিয়ে দিলশানকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিং জুটি থেকেই তুলে নিলেন ১১০ রান। যেখানে তার অবদান ছিলো ৫৮ রান।
দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়ে ব্যাক্তিগত ৫৮ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন চান্ডিমাল। আউট মিড উইকেটে তিনি ওহাব রিয়াজের বলে সারজিল খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
চান্ডিমালের বিদায়ে সেহান জয়সুরিয়া ক্রিজে আসলেও থিতু হওয়ার আগেই ফিরে যান। স্কোর বোর্ডে রান তখন ১১৭। শোয়েব মালিকের বলে তিনিও লেগ অফে সারজিল খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তবে পরপর দুই উইকেটের পতনেও একে প্রান্ত আগলে ধরে খেলতে থাকেন দিলশান।
এরপর দলীয় ১২৫ রানের মোহাম্মদ ইরফান চামারা
কাপুগেদারা এবং ধানুশ সানাকাকে বোল্ড করলেও আটকে রাখা যায়নি লঙ্কানদের রানের চাকা।
শেষ পর্যন্ত দিলশান মিলিন্ডা সিরিবর্ধনেকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানকে ১৫১ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেন। দিলশান ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন।