দ্রুতবেগে বিস্তার হওয়া করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরুসহ পুরোপুরি লকডাউনে চলে গেছে ভারতের ৮০টি শহর। এটি অব্যাহত থাকবে ৩১ মার্চ পযন্ত।
এনডিটিভি বলছে, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় মহারাষ্ট্র, কেরালা, দিল্লি, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, জম্মু এন্ড কাশ্মীর, লাদাখ, পশ্চিমবঙ্গ, চণ্ডিগড়, ছত্তিশগড়, হিমালচ প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা, পণ্ডিচেরী, উত্তরাখন্ড প্রদেশ প্রভৃতি রাজ্য লকডাউন থাকবে।
এসময় পুরো দেশে রেল সার্ভিস, মেট্রো সার্ভিস, অন্ত:সংযোগ বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অনেকগুলো শহরে ইতোমধ্যে শপিংমল, মার্কেট, সিনোমা হল, স্কুল, কলেজ, ব্যায়ামাগার বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন শহরে ৫ জন লোক একত্রে চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
রোববার সকালে রাজ্যগুলোর মন্ত্রিপরিষদ সচিবদের এক জরুরি বৈঠক লকডাউনে যাওয়া শহরগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ইতোমধ্যে ৩১ মার্চ পযন্ত রাজধানী দিল্লির সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। রেল, মেট্রো, বাসের পাশাপাশি বিমান উঠানামাও বন্ধ করেছেন তিনি। আজ এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
লকডাউনের এই সময়ে চলবে না কোনো ট্যাক্সি, ক্যাব, অটো-রিক্সা। জরুরি সেবা যেমন স্বাস্থ্যসেবা, পুলিশ, কারাসেবা, বিদ্যুতসেবা, পানি সরবরাহ, পেট্রোল পাম্প সরবরাহ ইত্যাদি জরুরি প্রয়োজন ব্যতিত সকল প্রাইভেট যানবাহন চলাচলও বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। বিভিন্ন রাজ্যেও একই ধরনের নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে রাজ্যগুলো এধরনের নীতি অনুসরণ করছে।
ভারতে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯৬ জন। মারা গেছেন ৭ জন। রোববার একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
সমগ্র বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮০ জন মানুষ। মারা গেছেন ১৪ হাজার ৪৪৪ জন।