আমেরিকার স্পেস এজেন্সি নাসার ১২ বছরের চালানো শনিগ্রহে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানোর পর এ মিশন শেষ হতে চলেছে বলে জানায় সংস্থাটি। শনির উপগ্রহ টাইটানের কক্ষপথে ক্যাসিনিকে ধ্বংস করা হবে বলে জানিয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
শনিবার এক মিশনে গ্রহের কক্ষপথের গ্রহাণু পথ এবং বায়ুমণ্ডলে ক্যাসিনি বসানো হয়। যার ফলে কৃত্রিম উপগ্রহ ক্যাসিনি শনি গ্রহের দিনের দৈর্ঘ্য এবং শনির সৌর বছরের বয়স সম্পর্কে জানা যাবে।
কিন্তু এ রণকৌশলের ফলে সেপ্টেম্বরে শনির আকাশে অগ্নিময় অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া কন্ট্রোলার সাড়া দেয় না এমন কৃত্রিম উপগ্রহের ব্যাপারে ঝুঁকি নিতে পারবে না বলেও জানিয়েছে। আর জীবন সহায়ক উপগ্রহে যাতে গ্যাসকে দূষিত করতে না পারে এবং নিরাপদে নিষ্পত্তি করা যায় এজন্য তারা এ ধরণের কৌশল গ্রহণ করছে।
নাসার ক্যাসিনির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. এর্য়াল মেইজি বলেন, যদি ক্যাসিনির জ্বালানি ফুরিয়ে যায় তাহলে এটি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে এবং শনির উপগ্রহ টাইটানে ক্র্যাশ করবে এতে ক্ষতির পরিমান বেশি হতে পারে। আমরা শনির কক্ষপথ থেকে দূরে বসাতে পারতাম কিন্তু বিজ্ঞান বলে আমরা যা করতে চাই তার জন্য এর চেয়ে ভালো যায়গা আর কোথাও নাই।
শনির উপগ্রহকে নিয়ে চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর চারপাশে ছায়া প্রভাব ফেলছে। কেননা শনিবার ক্যাসিনিকে মহাকর্ষীয় নমনীয় ব্যান্ডের আরেকবারের জন্য এর কক্ষপথ থেকে সরিয়ে শনির প্রধান কক্ষপথের বাইরের দিকে নেয়া হয়, যা প্লানেটটির মেঘ থেকে মাত্র ২০০০ কি.মি উপরে।
বিজ্ঞানীরা শনিবার এসময় কিছু নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেন। বিস্ময়কর প্লানেটটি উত্তর অক্ষাংশ দ্বারা প্রভাবিত এবং বড় লেক ও সমুদ্রগুলো তরল মিথেন গ্যাস ভর্তি। টাইটানে অবস্থানকালে অনেক কিছু আবিষ্কার করেছে কৃত্রিম এই উপগ্রহ।
লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজের প্রিন্সিপাল মাইকেল ডফর্হাটি বিবিসিকে বলেন, নর্দান এবং সাউদার্ন হ্যাম্পশায়ার ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে।। গ্রীষ্ম এবং বর্ষা দেথলে আমরা এই পরিবর্তন বুঝতে পারবো।
আবহাওয়া এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের পিছনে গ্রহগুলোর আন্ত:সম্পর্কিয় ব্যবস্থার প্রভা্ব রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।