প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ছয় দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম।
সোমবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
কর্মসূচি চলাকালে সড়কে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া বাকি সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিনোদপুর এলাকার উমেদ আলী নামের একজন ভ্যানচালক তার ভ্যান নিয়ে সমাবেশের পাশ দিয়ে অতিক্রম করতে গেলে বিক্ষোভকারীরা ভ্যানচালকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ভ্যানটি উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেন।
কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারীরা ছয়টি দাবির কথা উল্লেখ করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- রাজাকারসহ স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের বংশধরদের সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে চাকরিচ্যুত ও নিয়োগের ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করা, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারসহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অবমাননাকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা, মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পারিবারিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বিরোধী সকল প্রকার অপপ্রচার বন্ধ করা এবং সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্মের বয়সসীমা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আনুপাতিকহারে বৃদ্ধি করা।
আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না আসলে বৃহৎ কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ আহ্বায়ক কমিটির উপদেষ্টা তারিকুল হাসান, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক অমর কুমার রায়, রাজশাহীর হামিদপুর-নওদাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ চৌধুরীসহ এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।